ঢাকা: নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিশ্বের ১৬টি দেশের অংশগ্রহনে ৮টি ভেন্যুতে কোনোরকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই অনুষ্টিত হয়েছে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের আসর।
২২ জানুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট শেষ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে টুর্নামেন্ট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইসিসি’র পক্ষ থেকে এমন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট জহির আব্বাস ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এসময় রিচার্ডসন বিশ্বকাপের এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অভিনন্দন জানান। পরে, বিশ্বকাপের সফল আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ্বকাপের এমন সফল আয়োজন আমি খুব কমই দেখেছি। আমার দেখা অনেকগুলো সফল বিশ্বকাপের মধ্যে এটি একটি। আর বাংলাদেশ দারুণ সফলতার সঙ্গে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পারায় আমি দেশটির সরকার প্রধান ও ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’
শুধু বাংলাদেশ সরকার প্রধান ও ক্রিকেট বোর্ডকেই নয়, আইসিসি’র সিইও এসময় সন্তোষ প্রকাশ করেন, আয়োজক দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের কর্ম দক্ষতারও, ‘বাংলাদেশের আইন শৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দক্ষ তৎপরতা আমাকে রীতিমতো মুগ্ধ করেছে। ২৪ দিন তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই এমন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বকাপ সম্পন্ন হয়েছে। ’
এরপর সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে প্রশ্ন করা হয়, নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহন না করাটা কতটুকু যুক্তিসংগত ছিল? উত্তরে রিচার্ডসন জানান, ‘নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহন না করাটা ছিল সত্যিই হতাশার। তবে, তারা অংশ না নিলেও তাদের ছাড়াই বিশ্বকাপ চালিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্তটি আমরা নিয়েছি সেটা ছিল সময়োপযোগী। মূলত আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলোকে এখনও কোনো চুক্তির আওতায় আনা হয়নি, তাহলে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে জরিমানা করতে পারতাম। আর চুক্তির আওতায় না থাকায় কোন দেশ অংশ না নিলে আমরা তাদের বাধ্য করতে পারিনা। ’
তবে, খুব শিগগিরই এই মর্মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডেভিড রিচার্ডসন।
** অস্ট্রেলিয়ার না আসাটা ছিলো হতাশাজনক: রিচার্ডসন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘন্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর