ঢাকা: লোহার খাঁচায় সমুদ্রে ডুবুরির পোশাকে নেমেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। সমুদ্রের গভীরে নামাতেই খাঁচার বাইরে হাঙ্গরের আগমণ।
এর ক’দিন আগেই রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আহত একটি সাপকে বাঁচাতে গিয়ে ব্ল্যাক মাম্বার মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এ বার হাঙ্গরের ‘দাঁত’ থেকে বাঁচলেন ডেল স্টেইন।
কাঁধের চোটের কারণে ইংল্যান্ড সিরিজের বেশির ভাগটাই মাঠে নামতে পারেননি স্টেইন। মঙ্গলবার তার সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, ফাফ ডু প্লেসিদের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারে আরও বড় আঘাত লাগতে পারতো প্রোটিয়া পেস তারকার। তবে সে সব বিপদ নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত লাগল না স্টেইনকে। উল্টে হাঙ্গরের মুখ থেকে ফিরে এসে খাঁচার বাইরে হাসিহাসি মুখে সেলফিও পোস্ট করেছেন স্টেইন।
তবে কতটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল সেটা স্টেইনের ইনস্টাগ্রামের পোস্টেই স্পষ্ট। ‘সে যখন আসবে তখন কোনও মজা করার জায়গা থাকবে না। ওয়াও!!!’ হাঙ্গরের খাঁচায় হামলা দেখে চিৎকারটা কার ছিল সেটাও ফাঁস করেছেন স্টেইন। সেটি ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রেস অফিসার লেরাটো মালেকুটুর।
এদিকে দলের বাকিদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো? ড্যাশিং ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার তার টুইটারে লিখেছেন, ‘অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হল। শার্ক কেজ ডাইভিং শেষ। অসাধারণ একটা প্রাণী। ’ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ডু প্লেসির টুইট, ‘সমুদ্রের বিগ ডগদের সঙ্গে দিনটা দুর্দান্ত কাটলো। ’
ডি ভিলিয়ার্স এখনও অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় না জানালেও একটা রহস্য তিনিও ফাঁস করে দিয়েছেন সমুদ্রে এই অ্যাডভেঞ্চারে নামার আগেই। বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলাররা যাকে দেখে কেঁপে যান, তিনি হাঙ্গরকে ভয় পান না। ভয় পান ‘সি সিকনেস’কে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস