ঢাকা: মাশরাফি বিন মর্তুজার স্বপ্নটাই ছিল তরুণদের নিয়ে কাজ করার। স্বপ্নটা এবার সত্যি হতে চলেছে তার।
ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তরুণদের কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করবেন মাশরাফি। কর্মসংস্থান হবে তথ্য-প্রযুক্তির স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে। টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করার জন্য ২৫ হাজার কিশোর-কিশোরীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়।
মাশরাফি মনে করেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে তরুণ-তরুণীরা। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিনত হবে বাংলাদেশ-এমন স্বপ্ন দেখেন মাশরাফি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত লা মেরিডিয়ান হোটেলে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট জি ওয়াটকিনস।
চুক্তি সম্পন্নের পর নিজের অনুভূতি জানান মাশরাফি, আমার স্বপ্ন ছিল তরুণদের নিয়ে কাজ করার। আমি এ সুযোগ পেয়ে অনেক খুশি। আমি বিশ্বাস করি তরুণরাই দেশকে এগিয়ে নেবে। এ দেশের তরুণদের অনেক মেধা আছে। তাদের মাধ্যমেই উন্নয়নশীল দেশে থেকে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে এর আগেও ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় যেমন মুত্তিয়া মুরালিধরন, পাকিস্তানে শহীদ আফ্রিদি ও ভারতে কাজ করছেন শচিন টেন্ডুলকার।
এবার বাংলাদেশ থেকে যোগ হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে তারা চারজনই জাতীয় শুভেচ্ছা দূত। বৈশ্বিক দূত হয়েছেন রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর