ঢাকা: মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নবাগত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আমিরাতের দলপতি আমজাদ জাভেদ।
টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ৯ ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকার এবং ৪ ম্যাচ খেলা মোহাম্মদ মিথুন। একবার করে জীবন ফিরে পেয়ে দুই ওপেনারই জ্বলে উঠেন। তবে, ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। মোহাম্মদ শাহজাদের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে সৌম্য করেন ১৪ বলে ২১ রান। তার ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি। দলীয় ৪৬ রানে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দুই ওপেনার ৩২ বলে ৪৬ রান তুলে নেন। সৌম্য সরকার বিদায় নেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। ইনিংসের দশম ওভারে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। রোহান মুস্তফার বলে মিড-উইকেটে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করা সাব্বির। বিদায় নেওয়ার আগে তিনি মিথুনের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি গড়েন।
ওপেনার সৌম্য সরকার আর তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমানের পর বিদায় নেন অসাধারণ একটি ইনিংস খেলা আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিথুন। রোহান মুস্তফার বলে বাইরে দাঁড়িয়ে খেলতে গেলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। তবে, বিদায়ের আগে মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার আর দুটি ছক্কা।
কিছুটা উপরে এনে ব্যাটিংয়ে পাঠানো মুশফিকুর রহিম এ ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে মোহাম্মদ নাভীদের বাউন্সি বলে উইকেটের পেছনে স্বপ্নীল পাতিলের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। দলীয় ৮৩ রানে টাইগাররা টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারায়।
দলীয় ৮৩ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশ আরও একটি উইকেট হারায় ইনিংসের ১৮তম ওভারে। সাকিবকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন আমজাদ জাভেদ। সাকিব ১৩ বলে ১৩ রান করেন। এরপর একই ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। নিজের প্রথম বলেই বিদায় নেন সোহান। এ ম্যাচে ছিলেন না ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েস। তার জায়গায় দলে আসেন নুরুল হাসান সোহান। এর আগে টাইগারদের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন তিনি।
১৯তম ওভারে মাশরাফি বিদায় নেন। মোহাম্মদ নাভীদের বলে ফাহাদ তারিকের তালুবন্দি হন কোনো রান না করা টাইগারদের দলপতি।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চলতি আসরে দুই দলই প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ নেয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে এক নম্বরে থাকা ভারতের বিপক্ষে ৪৫ রানে হারে বাংলাদেশ। অপরদিকে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে কাঁপিয়ে দিয়েও মাত্র ১৪ রানের পরাজয় বরণ করে আমিরাত। ফলে, দুই দলই নিজেদের প্রথম জয়ের সুবাস পেতে চায়।
বাছাইপর্বের চমক জাগানিয়া দল হিসেবে মূলপর্বে জায়গা করে নেয় আমিরাত। টানা তিন ম্যাচ জেতা দলটি লঙ্কানদের বিপক্ষে জিততে না পারলেও চাইবে স্বাগতিকদের হারিয়ে আরেকবার নিজেদের সেরাটা প্রমাণ করার। অপরদিকে আমিরাতকে হারাতে না পারলে ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকা বড্ড কঠিন হয়ে যাবে টাইগারদের জন্য।
এর আগে একবারই আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের জুনে লাহোরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ম্যাচটিতে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরির সুবাদে ৯৬ রানের দাপুটে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ৩০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল আমিরাত। তবে এবার টি-২০ ফরমেটে এশিয়া কাপ হওয়ায় আমিরাতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান, মোহাম্মদ মিথুন, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
আরব আমিরাত একাদশ: আমজাদ জাভেদ, মুহাম্মদ কলিম, রোহান মুস্তাফা, শাইমান আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাদ, মুহাম্মদ উসমান, সাকলাইন হায়দার, স্বপ্নীল পাতিল, আহমেদ রাজা, মোহাম্মদ নাভীদ, ফাহাদ তারিক।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘন্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর
** ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১১৬/৭
** সৌম্যর পর সাব্বিরের বিদায়
** ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭০/১
** ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ