মিরপুর থেকে: আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের শেষ ওভারের কথা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ স্ট্রাইকে।
কারণ ম্যাশ জানতেন যে, শেষ ওভারে একজন অফস্পিনার বল করবেন এবং সেই ওভার থেকে ১৫ থেকে ১৬টি রান আসবে। হয়েছেও তাই। আর তাইতো মাশরাফি মেতে উঠলেন রিয়াদ বন্দনায়। ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘শেষ ওভারটি আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর আমরা ওই ওভারটিকেই টার্গেট করেছিলাম। আমরা এও জানতাম যে, এই ওভারে ১৫টি রান করতে পারলে ফাইটিং স্কোর দাঁড়াবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। যেভাবে আমরা চেয়েছি এবং সেটা সম্ভব হয়েছে রিয়াদ উইকেটে ছিল বলেই। ’
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি আরও বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে উইকেটে অনেক বেশি ঘাস ছিল যা আজকের উইকেটে ছিলনা। এমন উইকেটে আমাদের দলীয় সংগ্রহ ১৫০-১৬০ রান যেত। ’
আরব আমিরাতের বিপক্ষে টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি যেভাবে শুরু করেছিল তাতে রান আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল বলে মত দেন জয়ী দলের অধিনায়ক, ‘এখানে ১৫০-১৬০ রান করতে না পারা দুঃখজনক। হ্যাঁ, একথা সত্যি যে আমরা আগের দুটি টি-টোয়েন্টিতে বড় সংগ্রহ পাইনি কিন্তু তার আগে তো এমন সংগ্রহ এসেছে। ’
এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরব আমিরাতের বোলিং ছিল চোখে পড়ার মতো। টাইগারদের আটকে দেয় ১৩৩ রানেই। তাই প্রতিপক্ষের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন স্বাগতিক অধিনায়ক। সঙ্গে কৃতিত্ব দেন সতীর্থদের বোলিংয়েরও, ‘আরব আমিরাত ভাল বল করে আমাদের আটকে দিয়েছে। তবে আমাদেরও বিশ্বাস ছিল যে আমরা যদি ঠিক জায়গায় বল করতে পারি তাহলে জিতবো। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর