মিরপুর থেকে: বাংলাদেশের ইনিংস শেষে অনেকেই হয়তো আফসোস করেছেন.. ইস আর কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলেই তো সাব্বির রহমান পেয়ে যেতেন সেঞ্চুরিটা! ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংসটার পর এ আফসোস করতেই পারেন সাব্বিরভক্তরা।
দুসমন্থ চামিরার বলে সাব্বির যখন মিড উইকেটে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তখনও ইনিংসের বাকি পাক্কা ২৪ বল (চার ওভার)।
দলের প্রয়োজনে সাব্বির দ্রুত রান তোলার দিকে মনযোগী হওয়াতেই পাননি সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি না হওয়ায় টাইগারভক্তদের মনে আফসোস থাকতেই পারে, বিন্দুমাত্র নেই সাব্বিরের মাঝে। দলের জন্য ভালো খেলাই যার সংকল্প, সেখানে ব্যক্তিগত কীর্তি নিয়ে মাথা ব্যথা থাকে কি করে?
সেঞ্চুরি হতে পারতো কিনা; ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে দলের জন্য আত্মনিবেদেনের ব্যাপারটিই প্রকাশ পেল সাব্বিরের কথায়, ‘আসলে আমি কখনো চিন্তা করি না যে ফিফটি করবো বা সেঞ্চুরি করবো। সবসময় চেষ্টা করি দলের জন্য খেলার। যদি ৪৯ রানে ক্রিজে থাকি আর যদি ছক্কা মারতে বলা হয় সেটাই করবো আমি। ’
এমনিতেই হাত খুলে খেলতে পছন্দ করেন তিনে ব্যাট করা সাব্বির। সেই চেষ্টাটা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও। অথচ সাব্বির যখন রানের খাতা খুললেন শুন্য হাতে সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার। এমন চাপের মাঝেও খেললেন নিজের জাত অনুযায়ীই, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর। চেষ্টা থাকে ম্যাচে যেন ভালো কিছু দিতে পারি। বল টু বল ফেস করতে চেয়েছি। উইকেট তিনটা পড়ে যাওয়ার পরে আসলে চাপ সবসময়ই থাকে। চেয়েছি মেরে খেলে যদি ভিন্ন কিছু হয়। আমি চেষ্টা করেছি নিজের স্ট্রেন্থ ধরে রেখে খেলার। ’
সাব্বিরের ব্যাটেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্বপ্নের এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের ভিত বাংলাদেশ রচনা করেছিল আসলে ব্যাটিং দিয়েই। ভিতটা গড়ে দেয় সাব্বির রহমানের ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংসটা। এমন টর্নেডা ইনিংস খেলেই দলকে পাইয়ে দেন ১৪৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লঙ্কানরা ১২৪ এর বেশি করতে পারেনি। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২৩ রানে। এশিয়া কাপে দ্বিতীয় জয় তুলে ফাইনালে উঠার পথে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর