ঢাকা: এ যেন উল্লাস-উচ্ছাসের ধ্বনিতে মাতোয়ারা এক বাংলাদেশ! রাতের স্ট্রিট লাইট যতটা আলো তারচেয়ে বেশি আলো যেন মানুষের হাতে হাতে। হাতে থাকা সেলফোনের আলোয় আলোয় মিছিলে হঠাৎ জনমানুষে ব্যস্ত হয়ে উঠা রাজপথে দৃশ্যটা এমনই।
ব্যস্ত নগরী সড়কে যেমন মিছিল বেরিয়েছে তেমনি মিছিল বেরিয়ে সারা বাংলাদেশে। পাড়া-মহল্লার মিছিল গেছে রাজপথে। যুগপৎ এমন মিছিলের একটাই উচ্চারণ ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’।
বুধবার (০২ মার্চ) জয়ের পরপরই রাজধানীর মহাখালী ওয়্যারলেস মোড়ে হাজার মানুষের ঢল আর উচ্ছাসে মিছিল শুরু হয়। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ ছাত্র ছাড়াও সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে সেই মিছিলে।
বনানী ১১ নম্বর সড়ক থেকে আরেকটি মিছিল গেছে গুলশানের দিকে। ঢোল বাজিয়ে পশ্চিম রাজাবাজারে মিছিল হয়েছে।
মহাখালী বিটিসিএল কলোনি থেকে বাইসাইকেলে মিছিলে যোগ দিতে আসা কামরুল হাসান চঞ্চল জানান, ‘এর চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আর নেই। এর চেয়ে ঐক্যের আর কোনো সমাগম নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে এই পাকিস্তান বাংলাদেশ হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে গিয়েছিল। সেই প্রতিশোধটাই শুধু নয় আমরা এখন সামনে ভারতবধের স্বপ্ন দেখছি। গেল বিশ্বকাপে ভারত যে আচরণ করেছিলো তার জবাব দিতে যাচ্ছি।
পাকিস্তানকে হারানোর পর এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সামনে এখন ভারত। ভারতে হারানোর যোগ্যতা রাখে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক খেলায় ভারতের চেয়ে রেটিংয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটভক্ত খাদিজা বাংলানিউজকে জানান, পাকিস্তানের সেরা বলার বল যেভাবে পিঠিয়ে মাঠের বাইরে বল পাঠিয়েছে সেটা আবার জানান দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট কতটা শক্তিশালী।
তবে খেলার শেষ হওয়ার কিছু আগে একটু ভয় কাজ করছিলো। সেই ভয় জয় করে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি।
তার ড্যাশিং ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় জয়ের সবচেয়ে কাছে। সেখান থেকে চার মেরে নিশ্চিত জয় দিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন মাহমুদউল্লাহ। সেই উল্লাস মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে ঢাকার রাজপথ মাড়িয়ে ৪৭ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে ছড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা মেতেছেন আনন্দে। ভার্চুয়াল জগতেও এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৬
এসএ/এসআর