ঢাকা: কিউই কিংবদন্তী টেস্ট ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্রো মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
দীর্ঘসময় ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন ৫৩ বছয় বয়সী এ লিজেন্ড।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লোরাইন ডাউনি, মেয়ে ইমাসহ সৎ ছেলে-মেয়ে হিলটন ও জেসমিনকে রেখে গেছেন।
১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেন ক্রো। স্পিন অ্যাটাক দিয়ে ইনিংস শুরু, ফিল্ডিংয়ে বৈচিত্র্যময় পরিবর্তন, পিঞ্চ হিটার ব্যাটসম্যানদের সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি ক্রিজে নতুন নতুন স্টাইলের প্রবর্তক হিসেবে মার্টিন ক্রো’র নাম সবার আগে।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও বিশ্বকাপ স্পর্শ করতে পারেনি মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড। সেবার পাকিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল কিউইদের।
বহুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত এ লিজেন্ড উত্তরসূরী ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাতে অধরা বিশ্বকাপ ট্রফিটা দেখে যেতে চেয়েছিলেন। সেজন্য মরণব্যাধিকে সঙ্গে নিয়েই জীবনের ‘শেষ ম্যাচ’ দেখতে গত বছরের ২৯ মার্চ ১১তম বিশ্বকাপ ফাইনালে মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন মার্টিন ক্রো।
সে সময় ম্যাচ দেখতে আসা প্রসঙ্গে ক্রো বলেন, আমার অনিশ্চিত জীবন আমাকে খুব বেশি ম্যাচ দেখার আর সুযোগ দেবে না। হয়তো এটাই আমার সর্বশেষ ম্যাচ, এটা পেয়েই আমি আনন্দিত।
১৯৬৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অকল্যান্ডের হেন্ডারসনে জন্মগ্রহণকারী মার্টিন ক্রো’র বাবা ডেভ ছিলেন ক্রিকেটার। ভাই জেফও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৮২ সালে নান্দনিক এ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষিক্ত ওই ম্যাচে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রান আউট হয়ে ‘প্রথম ইনিংস’ শেষ করেন। আর বর্তমান ক্রিকেট বিশ্ব যে জ্বরে কাঁপছে সে টি-টোয়েন্টির ধারণাও আসে ক্রো’র মাথা থেকে।
মার্টিন ক্রো কিউইদের হয়ে ৭৭ টেস্টে ৪৫.৩৬ ব্যাটিং গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৫৪৪৪ রান। ১৭টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কিউদের পক্ষে শতকের তালিকায় শীর্ষে তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৬/আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা
জেডএস