ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৬
নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: এশিয়া কাপের এবারের আসরের নিয়ম রক্ষার ম্যাচে শুক্রবার (৪ মার্চ) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।



এশিয়া কাপে এবারের আসরের শুরু থেকেই ম্লান ছিল গেল বারের রানার আপ দল পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দলটি ৫ উইকেটে হেরে গেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে। অস্তিত্ব রক্ষার দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেলেও ফাইনাল উঠার লড়াইয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হয়ে বিদায় নিয়েছে এশিয়া কাপের এবরের আসর থেকে।

এমন বাস্তবতার নিরিখে দলটি মানসিকভাবে একেবারেই ব্যাকফুটে। সেই ব্যাকফুটের ভঙ্গুর মানষিকতা নিয়েই নিজেদের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে ২০১২’র শিরোপা জয়ীরা।

বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে আসর থেকে বিদায়ের ভঙ্গুর মানষিকতা নিয়ে দলটি ম্যাথিউসদের বিপক্ষে মাঠে নামলেও তারা এই ম্যাচে জয়ের প্রেরণা খুঁজতে পারে অতীত পরিসংখ্যাণ থেকে। কেননা, টি-টোয়েন্টির ফরমেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই পর্যন্ত ১৪ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৯ ম্যাচেই জিতেছে পাক শিবির, যেখানে লঙ্কানদের জয় ৫টিতে।

এমন বাস্তবতায় ৪ মার্চের এই ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ১০ম জয়ের হাতছানি হিসেবে কাজ করবে। আর সেই লক্ষ্যেই পাক শিবির নিজেদের সেরা খেলাটি খেলেই হয়তো লঙ্কানদের বিপক্ষে নিজেদের ১০ম জয়টি তুল নিতে সচেস্ট হবে।

আর লঙ্কানদের বিপক্ষে দলটির জয় পেতে যারা মোক্ষম ভূমিকা পালন করবেন তারা হলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ বোলার ও ব্যাটসম্যানেরা। দলটির ব্যাটিং লাইনআপে থাকছেন শোয়েব মালিক, উমর আকমল, শারজিল খান, সরফরাজ আহমেদ, শহীদ আফ্রিদির মতো ব্যাটসম্যানরা। আর বল হাতে মো: আমির, মো: ইরফান, মো: সামিতো আছেনই।

এদিকে এশিয়া কাপের এবারের আসরে পাকিস্তানের মতই অবস্থা শ্রীলঙ্কারও। একমাত্র আরব আমিরাত ছাড়া আর কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের শেষ হাসি হাসতে পারেনি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস বাহিনি। এও সত্য যে, আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি লঙ্কানরা ততটা দাপটের সঙ্গে জিততে পারেনি, যতটা দাপটের সঙ্গে তাদের জেতার কথা ছিল। উল্লেখ্য, আমিরাতের বিপক্ষে লঙ্কানরা ১৪ রানের জয় পেয়েছিল।

এরপর দ্বিতীয়টিতে ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামলেও ম্যাচটি স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্যও ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকার হওয়ায় স্বাগতিকদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কাছে হেরে গেছে ২৩ রানে।

আর ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন বেঁচে থাকলেও টুর্নামেন্টের ৮ম ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে যাওয়ায় তাঁদের ফাইনালে উঠার আশা বিসর্জন দিতে হয়।

শ্রীলঙ্কার এবারের আসরে এমন বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন দলটির অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি আর অভিজ্ঞ দু’এক জন যারা আছেন তাদের দায়িত্বহীন ব্যাটিং ও বোলিংকে।

কুমার সাঙ্গাকরা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে অবসরে যাবার পর দলটিতে মূলত তরুণ ক্রিকেটাররাই বেশি। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র দিনেশ চান্দিমাল ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই গেল তিন ম্যাচের একটিতেও জ্বলে উঠতে পারেননি। বল হাতেও ওই একই অবস্থা। লাসিথ মালিঙ্গা আর নুয়ান কুলাসেকারার বাইরে একমাত্র দুশমন্থা চামিরা জ্বলে উঠেছিলেন কিন্তু তাতে আর লঙ্কানদের খুব বেশি কিছু এসে যায়নি।  

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারের আসরের রানার আপও হতে পারেননি। ফলে সঙ্গত কারণেই দলটি মানষিকভাবে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সেই মানষিক দৈন্যতা কাটিয়ে উঠে নিজেদের সেরা খেলাটি খেলে শেষ জয়টি নিয়ে দেশে ফিরতে চাইছেন লঙ্কান পেস সেসশেসন লাসিথ মালিঙ্গা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচপূর্ব অনুশীলনে এসে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। দু’দলের কেউই ফাইনালে উঠেনি। তারপরেও ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দু’দলেরই প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে যারা ভাল খেলতে চায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, ৪ মার্চ, ২০১৬
এইচএল/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।