ঢাকা: মাশরাফি-মুশফিক-তামিম-সাকিবদের এশিয়ার সেরা মুকুট জেতার লড়াই আগামীকাল রোববার ৬ মার্চ। এই লড়াইয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠে থাকতে ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়ে গেছে।
কেবল টিম স্কোয়াডের ক্রিকেটারদেরই প্রায় ১৫শ’ বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজন মাঠে থাকতে চান। থাকতে চান ভিআইপি মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে তারকা ক্রীড়ামোদীরাও। আরও থাকতে চান লাখো টাইগারপ্রেমী। তাই, মূল্য যা-ই হোক, টিকিট পেতে চান তারা সবাই।
কিন্তু টিকিট যে নেই! ২৫ হাজার আসনের মিরপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে কীভাবে জায়গা পাবে ১৬ কোটি বাংলাদেশি?
রোববারের বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট মহারণ দেখতে এমন অগণিত টিকিট চাহিদার চিত্র রাজধানীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আশপাশে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা শর্মিলী বাংলানিউজকে জানান, তিনি ও তার স্বামী দু’দিন থেকে অনেক চেষ্টা করেও কোথাও থেকে টিকিট ম্যানেজ করতে পারছেন না। কেউ বলছেও না কোথাও টিকিট পাওয়া যাবে।
শনিবার সংশ্লিষ্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) দীর্ঘ লাইন এবং দুপুরের মধ্যেই টিকিট বিক্রি বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছে ব্যাংকের সামনে।
টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় হাজারো ক্রিকেট পাগল মাঠে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার হতাশায় পুড়ছেন।
বিসিবি সূত্র বলছে, কেবল লাইনে দাঁড়ানো মানুষেরাই নন, খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিসিবির নিজস্ব কর্মকর্তারদের চাহিদা অনুযায়ীও টিকিট মিলছে না।
এদিকে, টিকিট নিয়ে এ ‘যুদ্ধের’ মধ্যে খেলার আগের দিন শনিবার (৫ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে স্বাগত জানাতে আনন্দ-মিছিল ও বিজয়োল্লাসের প্রস্তুতি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ক্রিকেট ক্লাব, পাড়া মহল্লায় পতাকা নিয়ে স্বাগত মিছিলের প্রস্তুতি নিতেও দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের মাঠে ৬০ ফুটের জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দ মিছিল ও বিজয়োল্লাসে বের হবেন শিক্ষার্থীরা।
মহাখালীর বিটিসিএল কলোনি ওয়ারল্যাস এলাকার বাসিন্দারা পাকিস্তানের সঙ্গে জেতার রাতেই মিছিল করেছিলেন। সেখান থেকেই তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন ফাইনাল খেলার আগের দিন বিকেল থেকে ওয়ারল্যাস এলাকায় মিছিল বের করা হবে। একইসঙ্গে আয়োজন থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
এসএ/এইচএ/
** ব্যাংকে টিকিট কেনার লাইনে মারামারি, পুলিশের লাঠিচার্জ