ঢাকা: অনেক নাটকের পর শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের টিকিট বিক্রি। সকাল থেকে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) শাখা বন্ধ থাকলেও বিকেল চারটার কিছু পরেই তা খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে ব্যাংক থেকে জানানো হয়, আজ কোনো টিকিট বিক্রি হবেনা। এরপর ব্যাংকটির প্রধান শাখায় টিকিট বিক্রি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (০৫ মার্চ) তিন হাজার টিকিট বিক্রি হবে। কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানান, পূর্বের ম্যাচের টিকিটের থেকেও এবার বেশি টিকিট বিক্রি হবে। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন থেকে পুলিশ প্রহরায় দশজন করে ব্যাংকের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, প্রত্যেকে নির্দিষ্ট মূল্যের একটি করে টিকিটই ক্রয় করতে পারছেন।
অনেকেই টিকিট না পেয়ে লাইন ছেড়ে চলে গেলেও এ মুহূর্তে আবারো তারা ভিড় করছেন ব্যাংকের সামনে। সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের টিকিট-প্রত্যাশীদের সঙ্গে শনিবার (০৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। টিকিট-প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পুলিশসদস্যসহ প্রায় ১৫ জনের মতো টিকিট-প্রত্যাশী আহত হন।
শনিবার সকাল থেকে ফাইনালের টিকিট পাওয়া যাবে-এমন আশাতে রাজধানী ও বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণ-যুবারা আগের দিন (শুক্রবার সকাল ৭টা থেকেই) ভিড় করে মিরপুরের ইউসিবি শাখার সামনে। সেখানে অনেকই পানিশূন্যতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু শনিবার সকালে নির্ধারিত সময়ে ব্যাংক না খোলায় মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে টিকিটপ্রত্যাশীদের। তবে, আবারো টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশা থেকে ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ ২০১৬
এসকে/এমআর
** ২৫ হাজার আসনের গ্যালারিতে জায়গা চায় ১৬ কোটি বাংলাদেশি!
** ব্যাংকের কাণ্ডে বিস্মিত মিরপুর থানার ওসি
** রাত জেগে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিটের অপেক্ষা
** ব্যাংকে টিকিট কেনার লাইনে মারামারি, পুলিশের লাঠিচার্জ
** ব্যাংক বন্ধ, কোথায় গেল ফাইনালের টিকিট!
** টিকিট পেতে ২৭ ঘণ্টা আগেই লম্বা লাইন!