মিরপুর থেকে: বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপের পারদ বাড়ছে মিরপুরে। একদিকে যেমন টিকিট নিয়ে খেলার মাঠে প্রবেশের জন্য আসছেন ক্রিকেট পাগলরা, অন্যদিকে লাইন বেড়ে পেরিয়েছে অনেক দূর।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ২৫ হাজারের একটু বেশি। কিন্তু রোববার (৬ মার্চ) দুপুর ২টার দিকেই মিরপুরসহ আশেপাশে জনতার যে ঢল নেমেছে তাতে মনে হচ্ছে, লাখো ক্রিকেটানুরাগীকে জায়গা দিতে হবে স্টেডিয়ামে।
দূর-দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা অনেকেই স্টেডিয়ামের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
ক্রিকেট নিয়ে এর আগে অনেক উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার সাক্ষী বাংলাদেশ। কিন্তু এবারের উচ্ছ্বাস তার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা হলেই বাংলাদেশ ভারত মহারণে নামবে। কিন্তু সকাল থেকে যে দীর্ঘ লাইন ক্রিকেট পাগলদের, সে লাইন দুপুর গড়িয়েও অটুট দেখা গেছে। কেউ লাইন থেকে সরছেন না। এদের অনেকেই মনে করছেন, শেষমেষ তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
টিকিট নিতে আসা মিরপুরের কাছের শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যে করেই হোক টিকিট পেতে চান তিনি। লাইন থেকে সরে গিয়ে এখন ‘অন্য উপায়’ খুঁজছেন তিনি।
তারপরও টিকিট না পেলে ‘কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ’ করে বিনা টিকিটেই ঢুকতে চেষ্টা করবেন মনিরুল ইসলাম।
মনিরুলের সঙ্গে আসা আরেকজন মোবাইল ফোনে জানতে পেরেছেন, দেড়শো টাকার টিকিটের দাম তিন হাজার টাকা এবং দু’শো টাকার টিকিট চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা চান একজন দালাল। তারা চিন্তা করছেন, এতো টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন নাকি শেষশেষ বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে ঢোকার যুদ্ধে যোগ দেবেন।
এদিকে স্টেডিয়াম এলাকায় এরইমধ্যে জড়ো হওয়া ক্রীড়ামোদীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের টি-টোয়েন্টির এ লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
তাদের অনেকই মনে করছেন, ভারত টি-টোয়েন্টিতে ভাল, কিন্তু বাংলাদেশ সাম্প্রতিক যে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে, তা ভারতের সঙ্গে সমানে সমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এসএ/এইচএ/