ঢাকা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করতে পাকিস্তান দলের ভারত সফরের কথা রয়েছে দু’দিন পরে। তবে সফর নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল না।
পাকিস্তান দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কড়া, তা খতিয়ে দেখতে এ দিন চলে এলেন পাক সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা উসমান আনোয়ার ও পাক বোর্ডের কর্তা আজম খান। দিল্লি থেকে পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্তাও এদের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভারতে আসা বা না আসা।
এ দিন জানা গেল, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এই প্রতিনিধি দলকেও জানিয়ে দিয়েছেন, তারা পাক দলকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার এই দুই পাক প্রতিনিধি দিল্লিতে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক বৈঠকে তারা উপস্থিত থাকবেন। তার পরই তারা পাকিস্তান সরকারকে রিপোর্ট দেবেন।
কলকাতাতেই পাকিস্তানের প্রথম আসার কথা এবং এখানে পাক দলের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ ও মূলপর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলার কথা। তাই সেখানকার কর্মকর্তারাও চিন্তায়। বিসিসিআই থেকে অবশ্য সোমবার পর্যন্ত পাকিস্তানের না আসার বা দেরিতে আসার কোনও ইঙ্গিত এসে পৌঁছয়নি । কলকাতা পুলিশের কাছেও তেমন কোনও খবর নেই বলে জানা যায়।
ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কড়া নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও পাক ক্রিকেট ভক্তদের ধর্মশালা ম্যাচের জন্য আড়াইশোর বেশি ভিসা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। তাও টিকিট ও তাদের হোটেল ব্যবস্থার প্রমাণ দেখাতে পারলে, তবেই পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এখন দেখার বিষয় ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে খুশি করতে পারবে কি না। এমনিতেই পাক বোর্ড প্রধান শাহরিয়ার বলেছেন, ‘হিমাচল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। তা হলে বুঝুন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য কত বড় ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে? আমাদের প্রতিনিধিরা কী রিপোর্ট দেন, তার উপরেই নির্ভর করছে সব কিছু। ’
এদিকে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ধর্মশালায় পাক-ভারত ম্যাচটির ব্যাপারে আশাবাদী। দিল্লিতে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৬
এমএমএস