ঢাকা: বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে মুম্বাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানের লিড নেয় ভারত। চতুর্থ দিন শেষে ১৮২ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা ইংল্যান্ড।
স্কোর: ইংল্যান্ড - ৪০০ ও ১৮২/৬ (৪৭.৩ ওভার)
ভারত - ৬৩১
চতুর্থ টেস্টে ২৩১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন অ্যালিস্টার কুকরা। প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন প্রথম ইনিংসে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকানো কিটন জেনিংস (০)। দলপতি কুক ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মঈন আলীকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন রবিন্দ্র জাদেজা।
এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে থামেন জো রুট। তাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জয়ন্ত যাদব। বেন স্টোকস (১৮) ও জেক বলকে (২) ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অর্ধশতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জনি বেয়ারস্টো (৫০ অপ.)।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংলিশদের ভোগান অশ্বিন ও জাদেজা। দু’জন মিলেই প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট নিয়েছিলেন। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তারা দু’টি করে উইকেট তুলে নেন। বাকি দু’টি ভুবনেশ্বর ও যাদবের।
এর আগে ইংল্যান্ডের করা ৪০০ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের করা সাত উইকেটে ৪৫১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। কোহলির ডাবল সেঞ্চুরির পর শতক তুলে নেন জয়ন্ত যাদব (১০৪)। দু’জনের অষ্টম উইকেট জুটিতে আসে ২৪১। যা টেস্ট ইতহাসে ভারতের অষ্টম উইকেট জুটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও যেকোনো দলের পরিসংখ্যানে অষ্টম বা পরের উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
চোখ ধাঁধানো ইনিংসে রেকর্ড-বুকে ঢুকে পড়েন কোহলি। টেস্টে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। দলীয় ৬১৫ রানের মাথায় ক্রিস উকসের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩৫। তাতে ছিল ২৫টি চার ও ১টি ছক্কার মার।
শুধু তাই নয়, এটি অধিনায়ক কোহলির সিরিজও বলা চলে। ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে পাঁচশ’র অধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এর আগে দু’বার এমন ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৩২, ১৯৭৮-৭৯) ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (৫০০, ১৯৮১-৮২)।
কোহলি-যাদব ছাড়াও প্রথম ইনিংসে ওপেনার মুরালি বিজয় (১৩৬) সেঞ্চুরি উদযাপন করেন। চেতশ্বর পুজারা ৪৭ রান করে আউট হন।
একাই চারটি উইকেট নেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। মঈন আলী ও জো রুট দু’টি করে আর একটি করে নেন উকস ও জেক বল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এমআরএম