খুলনা বিভাগের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৮তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ। পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা বিভাগের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে খুলনার।
৬ ম্যাচ করে খেলা উভয় দলের ফলাফল সমান হলেও পয়েন্ট টেবিলে খুলনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট কম পাওয়ায় রানার্সআপ হয়ে লিগ শেষ করেছে ঢাকা।
জমজমাট এ লিগে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এবার আলো ছড়িয়েছেন অলোক কাপালি ও আবু জায়েদ রাহি। ব্যাট হাতে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান করেছেন কাপালি। আর বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন রাহি।
৬ ম্যাচে ১১ ইনিংস ব্যাট করে দুটি শতক ও একটি অর্ধশতকে ৫৯৮ রান করে সবার শীর্ষে থাকেন কাপালি। সিলেট বিভাগের এ অধিনায়ক শেষ রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ছাড়িয়ে যান সবাইকে।
সমান ম্যাচে ১০ ইনিংস ব্যাট করে ৫৮৫ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটার ইয়াসির আলি। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে নামের পাশে পাঁচটি অর্ধশতক রয়েছে এ ব্যাটসম্যানের। রাজশাহী বিভাগের ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছেন ৫৬৮ রান। দুটি শতকের সঙ্গে চারটি অর্ধশতক করে তিনে আছেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন খুলনা বিভাগের অধিনায়ক তুষার ইমরান। ৬ ম্যাচে মাত্র ৭ ইনিংস ব্যাট করে তিনটি সেঞ্চুরি করেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তিন সেঞ্চুরি, এক অর্ধশতকে ৫১৮ রান আসে তার ব্যাটে।
মোট সেঞ্চুরি হয়েছে ২৯টি। যার মধ্যে চারটা ইনিংস ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন নাসির হোসেন, তাইবুর রহমান, সাইফ হাসান ও অলোক কাপালি।
লিগের শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করা সিলেট বিভাগের পেসার আবু জায়েদ রাহি ৬ ম্যাচে ২৯ উইকেট তুলে শীর্ষে জায়গা করে নেন। চার বার পাঁচ উইকেট তুলেছেন তিনি। ইনিংসে সেরা বোলিং ৪৮ রানে ৬ উইকেট।
সমান ম্যাচে মাত্র ৮ ইনিংস বল করে ২৪ উইকেট তুলে দ্বিতীয় অবস্থানে বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন। সেরা বোলিং ৬৬ রানে ৬ উইকেট। খুলনার পেসার আল আমিন হোসেন মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। সেরা বোলিং ৪১ রানে ৬ উইকেট। আল আমিনের সমান ২৩ উইকেট নিয়েছেন রংপুর বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ ও রাজশাহী বিভাগের পেসার ফরহাদ রেজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ০৬ জানুয়ারি ২০১৭
এসকে/এমআরপি