এ সময় ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) পক্ষ থেকে ধোনিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ধোনি যুগের অবসান হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিরাট কোহলির উপর তিন ফরমেটের অধিনায়কত্ব তুলে দেয়।
শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে টস করতে নেমে ধোনি টস জিততে পারেননি। সফরকারী দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগান টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রায় আড়াই মাস পর ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ ব্যাট করেন ধোনি। গত অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আর কোনো ম্যাচ না খেলা ক্যাপ্টেন কুল ব্যাট হাতে নামেন পাঁচ নম্বরে। ব্যাটে ঝড় তুলে ৪০ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কায় তিনি করেন অপরাজিত ৬৮ রান।
ব্যাট হাতে ভারতের ইনিংস শুরু করেন মানদ্বীপ সিং এবং শিখর ধাওয়ান। মানদ্বীপ সিং ৮ রান করে বিদায় নিলেও ধাওয়ান করেন ৬৩ রান। তার ৮৪ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইডু ৯৭ বলে ১১টি চার আর একটি ছক্কায় ১০০ রান করে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
এদিকে, ভারতের সিনিয়র অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন। ধোনির নেতৃত্বে তাকেও ব্যাট হাতে নামতে হয়েছিল। ম্যাচের আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ভয়ডরহীন ধোনি-যুবিকে দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব। নিরাশ করেননি যুবি। ব্যাট হাতে খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। ৪৮ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর দুটি ছক্কার মার।
৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত ‘এ’ দল তোলে ৩০৪ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি