এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চলতি বছরের মার্চে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ করেছিল। তবে, ফাইকার নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিবেদন জানার পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পাকিস্তান সফর বাতিলের ফলে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করছে ক্যারিবীয়ান ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ১৯ ও ২০ মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপারে আলোচনা করছে দুই বোর্ড।
ফাইকার রিপোর্টে বলা হয়, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফর নিরাপদ নয়। সেখানে গ্রহণযোগ্য মাত্রার কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কারণ, পাকিস্তান সব সময়ই পশ্চিমাদের জন্য হুমকি। এমন সন্ত্রাসী হামলাপ্রবণ দেশে সফরকারীদের সফরের আগেই পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে বন্দু্কধারীদের হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কা। এরপর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান সফরের বিষয়ে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ কারণে পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোম সিরিজও আয়োজন করতে হয়েছিল। তবে দুই বছর আগে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ও বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যায়।
কোনো টেস্ট খেলুড়ে দল পাকিস্তানের মাটিতে ২০০৯ সালের পর সিরিজ খেলেনি। পিসিবি সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম কোনো টেস্ট দল হিসেবে সাত বছর পর আবারো পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সূত্রটি থেকে আরও জানানো হয়, সফরে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে আয়োজিত সিরিজের লভ্যাংশের বেশির ভাগ অর্থই দিয়ে দেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
তবে অনেক অনুরোধ করে জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ নারী দলকে পাকিস্তানে নিতে পারলেও এবার হতাশই হতে হলো পাকিস্তানকে।
এদিকে, পাকিস্তানে না গেলেও প্রায় চার বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে পাকিস্তান। মার্চের শেষদিকে সাত সপ্তাহের ট্যুরে পাঁচটি ভেন্যুতে থাকছে দু’টি টি-২০, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টেস্ট।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে সবশেষ ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়েছিল টিম পাকিস্তান। সেবার পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিলেন মিসবাহ-হাফিজরা। আর দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, ২০১১ সালে ক্যারিবীয়দের মাটিতে শেষবার টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তিরা। দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ সমতায় নিষ্পত্তি হয়েছিল।
পোর্ট অব স্পেনে আগামী ৩১ মার্চ টি-২০ ম্যাচ দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। একই গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় ম্যাচ ২ এপ্রিল। ৭ এপ্রিল ওডিআই সিরিজ মাঠে গড়াবে। বাকি দু’টি ওয়ানডে ৯ ও ১১ এপ্রিল। কিংস্টনে প্রথম টেস্ট শুরু ২২ এপ্রিল। ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ১০ মে থেকে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে পাকিস্তান। ব্রিসবেনে ১৩ জানুয়ারি পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওডিআই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে টেস্ট সিরিজের তিন ম্যাচেই হার মানে মিসবাহ উল হকের দল।
ও. ইন্ডিজের আপাতত কোনো আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা নেই। মার্চের শুরুতে তারা হোম সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে (৩, ৫ ও ৯ মার্চ) খেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি