সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ-৫৯৫/৮ ডিক্ল. ও ১৬০
নিউজিল্যান্ড-৫৩৯ ও ২১৭/৩ (৩৯.৪ ওভার)
অথচ এই টেস্টে শুরুটা কি দারুণই না করেছিল সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে আট উইকেট হারিয়ে ৫৯৫ রান করে ঘোষণা করেছিল।
এ হারের ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের ১-০তে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ২১৭ রানের টার্গেটে তিন উইকেট হারিয়ে টপকে যায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। ৫৭ ওভারে ২১৭ রানের টার্গেটকে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন মামুলি বানিয়ে ফেলেন উইলিয়ামস ও টেইলর। ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ব্যাটিংও করেছেন ঝড়ো গতিতে। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ১৫ চারে ১০৪ রান করেন।
অপরদিকে টেইলর করেন ৬০ রান। তবে ৭৭ বলে ছয়টি চারের ইনিংস সাজানোর পর শুভাষীশ রায়ের বলে আউট হন তিনি। নিকোলস চার রানে অপরাজিত থাকেন
বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে অবশ্য শুরুতেই কিউইরা নিজেদের দুই ওপেনারকে হারায়। ৯.১ ওভারে দলীয় ৩২ রানের মাথায় নিজের বলে ক্যাচ ধরে মেহেদি ফেরান জিত রাভালকে (১৩)। নিজের পরের ওভারেই আরেকটি সাফল্য পান তিনি। এবার আরেক ওপেনার টম লাথামকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে সরাসরি বোল্ড করেন মিরাজ।
এর আগে ওয়েলিংটনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ডের সামনে পঞ্চম ও শেষ দিনের ৫৭ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২১৭।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে আট উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে কিউইরা নেমে ৫৩৯ রান করতে সমর্থ হয়। যেখানে ৫৬ রানের লিড পায় টাইগাররা। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি তামিম-সাকিবরা।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ। আর শেষ দিনে এসে আর ৯৪ রান যোগ করতেই বাকি সব উইকেট হারায়। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। তিনি নয়টি চারের সাহায্যে ১০১ বলে ৫০ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন। প্রথম ইনিংসেও ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।
আগের দিনে আহত হয়ে মাঠ ছাড়া ওপেনার ইমরুল কায়েস এদিন নেমে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৩ রান করেন মুমিনুল হক। তবে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়া সাকিব আল হাসান শূন্য রানে মিচেল স্ট্যান্টনারের শিকার হন।
এদিকে বাংলাদেশ দলের জন্য আরও একটি ইনজুরির দুঃসংবাদ বয়ে আনলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। টিম সাউদির একটি শর্ট বাউন্সার বলে হেলমেটের পেছনে লেগে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪২.৫ ওভারে টিম সাউদির ১৩৫ কিলোমিটার গতির একটি বলে বুঝে উঠতে না পারায় হেলমেটের পেছনে লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক মিনিটের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের অধিনায়ককে।
কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান বোল্ট। দুটি করে উইকেট তুলে নেন স্ট্যান্টনার ও নেইল ওয়াগনার।
আগামী শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস