২৭.৪ ওভারে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ১৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওল্ড ডিওএইচএস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ট্যালেন্ট হান্টের প্রথম সারির ৮ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান অনিল। শেষের দুটি উইকেট নেন আনিসুল ইসলাম।
৮ উইকেট নিতে ১০ ওভারে ৩০ রান দেন অনিল। ৭ বছর আগে আলাউদ্দিন বাবু নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। আলাউদ্দিন বাবুর চেয়ে কম রান দেওয়ায় অনিলের ‘১০-১-৩০-৮’ ফিগারটাই প্রথম বিভাগের সেরা।
হোম অব ক্রিকেটে এমন কীর্তি গড়তে পেরে দারুণ খুশি জামালপুরের ছেলে অনিল। বাংলানিউজকে ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ বলেন, ‘আমার জন্য এটা অনেক বড় কিছু। অনেক ভালো লাগছে। ভালো বোলিংয়ের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। শেষের দুই বছর কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা জামালপুরের মানুষ খুব ভালোভাবে জানেন। ’
২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যাম্পে ডাক পান অনিল। মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দারুণভাবেই ছিলেন এ পেসার। কিন্তু গ্রোয়েনের ইনজুরি তাকে বারবারই কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়।
সব কিছু বাদ দিয়ে ফিটনেস ঠিক করতে কাটিয়ে দেন ৩ বছর, ‘ম্যাচ খেলতে গেলেই ইনজুরিতে পড়তাম। অনেকটা পিছিয়ে পড়ছিলাম। গ্রোয়েনে শুধু লাগতো। বিসিবির ফিজিও বলেছিল, মাংশপেশী দুর্বল। এজন্য প্রথম আমি আমার ফিটনেস ঠিক করেছি। মাংশপেশী মজবুত করেছি। ’
চলমান প্রথম বিভাগ লিগে ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন অনিল। দলের কোচ ইমন দাশ এ বোলারের মাঝে দেখছেন দারুণ সম্ভাবনা, ‘অনিল অনেক অ্যাকটিভ একটা ছেলে। ওর মধ্যে শেখার জন্য একটা স্পিড কাজ করে। যা অনেকের মধ্যেই নেই। আর এক-দুই বছর খেললে সামনে খুব ভালো করবে। বোলিং দুর্দান্ত করেছে আজ। ‘থ্রেট বোলিং’ যাকে বলে। কেউ ওকে সেধে উইকেট দেয়নি, আদায় করে নিয়েছে। মাঝখানে ও তো হারিয়েই গিয়েছিল। আমাদের এক বড় ভাই ময়মংসিহে ওর বোলিং দেখে নিয়ে এসেছে। আমরা ওকে নার্সিং করছি। বেশ উন্নতি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭
এসকে/এমআরএম