প্রথমেই তিনি ক্রিকেট বিশ্বের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, কেন বাংলাদেশকে ভারতের মাটিতে সাদা পোশাকে খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? খুব শক্তিশালী দল না হওয়ার কারণেই কি এত দিন বাংলাদেশকে নিজেদের মাটিতে ডাকেনি ভারত? এটা সত্যি যে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। তারা ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ১-১ এ সিরিজ শেষ করেছে।
২০০০ সালের জুনে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অভিষেকে খেলেছে ভারতের বিপক্ষেই, নিজেদের মাটিতে। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে আরও কয়েকবার এসে খেলে গেছে ভারত। এর মধ্যে ২০০৪, ২০০৭, ২০১০ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলে গেছে ভারত। একাধিক টুর্নামেন্টেও টিম ইন্ডিয়া বাংলাদেশে এসেছে। অথচ সাদা পোশাকে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে ভারতের ১৭ বছর লাগলো কেন, তা নিয়েও ক্ষোভ ঝরেছে বোরিয়া মজুমদারের আলোচনায়।
তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট হলে সেটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হবে না, এমন ভাবনা কাজ করেছে ভারতীয় বোর্ডের। তারা ভুল ভেন্যু নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশকে তারা হায়দ্রাবাদে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অথচ ভারতীয় বোর্ডের নিয়মানুযায়ী ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সব মাঠে খেলানোর নীতি আছে। তারা কলকাতায় ম্যাচটি নিতে পারতো। সেখানে প্রচুর বাঙালী ক্রিকেট ভক্ত রয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে কলকাতায় ম্যাচ খেলেছে ভারত। ’
বোরিয়া যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের জন্য হায়দ্রাবাদে খেলা আর কলকাতায় খেলা এক নয়। এই ম্যাচ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কয়েক হাজার দর্শক চলে আসত ম্যাচ দেখতে। দুই বাংলার ক্রিকেট ভক্তদের কথা ভেবে ভারতীয় বোর্ড নিয়ম মেনেই ব্যতিক্রম কিছু করতে পারতো। ’
বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক বোরিয়া আরও যোগ করেন, ‘একটা মাত্র টেস্ট খেলার আসলে কোনো মানে হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নির্ভরশীল নয়। ভারতের এমন প্রস্তাব তারা ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের জোর খাটানোর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেটা করেনি। আবারও কবে ভারত বাংলাদেশকে খেলতে ডাকবে, সেটাও নিশ্চিত নয়। আর এই ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতকে রুখে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ কেউ জানে না বাংলাদেশ কখন ঘুরে দাঁড়াবে। ’
০৯ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি