১৩০তম ওভারে লক্ষণ সান্দাকানকে (৫) মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে লঙ্কান ইনিংসের সমাপ্তি টানেন উইকেটের খাতায় নাম লেখানো সাকিব আল হাসান। আগের ওভারেই অর্ধশতক হাঁকানো দিলরুয়ান পেরেরাকে (৫১) এলবিডব্লুর ফাঁদে পেলে নিজের চতুর্থ শিকার উদযাপন করেন মিরাজ।
মিরাজের চারটির সঙ্গে দু’টি উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এক করে নেন তাসকিন আহমেদ, শুভাশিস রায় ও সাকিব।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ১২২ রান করে স্বাগতিকরা। টাইগারদের প্রাপ্তি কুশল মেন্ডিস (১৯৪) ও নিরোশান ডিকওয়েলার (৭৫) উইকেট। দু’জনকেই ফেরান মিরাজ।
ছক্কা হাঁকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করতে গিয়ে লং-অনে বাউন্ডারি লাইনে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন মেন্ডিস। বাংলাদেশকে আক্ষেপই করতে হচ্ছে! ‘শূন্য রানে’ জীবন পাওয়া মেন্ডিসই বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান।
দলীয় ৩৯৮ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। মেন্ডিসের ১৯৪ রানের ইনিংসটিতে ছিল ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। আউট হওয়ার আগে পঞ্চম উইকেটে নিরোশান ডিকওয়েলার সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
ব্যক্তিগত ১৭৫ রানে শুভাশিস রায়ের বলেই আবারো ‘নতুন’ জীবন পান ২২ বছর বয়সী মেন্ডিস। ফাইন লেগ অঞ্চলে মোস্তাফিজুর রহমান যখন ক্যাচ তালুবন্দি করেন ততক্ষণে অসতর্কতার কারণে পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
মেন্ডিসকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ডিকওয়েলা করেন ৭৫। ১১০তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হয়ে মিরাজের তৃতীয় শিকার হন। রঙ্গনা হেরাথকে (১৪) সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। সুরাঙ্গা লাকমলের (৮) রানআউটে অষ্টম উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
এর আগে টস জিতে প্রথম দিনে মেন্ডিসের ১৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ৩২১ রান তোলে লঙ্কানরা। ৯২ রানে তিন হারানোর পর আসিলা গুনারাত্নের (৮৫) সঙ্গে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে উপুল থারাঙ্গার (৪) স্ট্যাম্প ভেঙে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার শুভাশিস রায়। পরের বলেই লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু, দুর্ভাগ্য! রিভিউতে পায়ের ‘নো’ বল ধরা পড়ায় আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন আম্পায়ার।
আরেক ওপেনার দিমুথ করুনারাত্নেকে (৩০) বোল্ড করেন মিরাজ। দিনেশ চান্দিমালকে (৫৪ বলে ৫) মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে উইকেট উদযাপনে মাতেন দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফেরা মোস্তাফিজ। ৮৩তম ওভারে এসে গুনরাত্নেকে (৮৫) ক্লিন বোল্ড করে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমনি হন তাসকিন আহমেদ। ২৮৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিস রায়।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুনারাত্নে, উপুল থারাঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), অসিলা গুনারাত্নে, দিলরুয়ান পেরেরা, রঙ্গনা হেরাথ (অধিনায়ক), সুরাঙ্গা লাকমল, লাহিরু কুমারা, লক্ষণ সান্দাকান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০১৭
এমআরএম