কোয়েটা আর পেশোয়ারের মধ্যকার লাহোর ফাইনালের আগে ক্রিকেটারদের ড্রেসিং রুমে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক তরুণ প্রবেশ করেছিল। সেটি দেখে ফেলেন মালান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, পিসিবি আয়োজিত পিএসএলের প্রথম আসরটি সম্পন্ন হয়েছিল আরব আমিরাতে। দ্বিতীয় এই আসরের সবগুলো ম্যাচই সেখানে অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র ফাইনালটি লাহোরে নিয়ে আসা হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও পাকিস্তানে ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়। আর আগে থেকেই পিসিবি চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো যে কোনো মূল্যেই হোক দেশে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট, ম্যাচ বা সিরিজ আয়োজনের।
তবে, খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়া সেই পাকিস্তানি দর্শকের বিষয়টি কেন এতোদিন পড়ে মালান জানালেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
মালান জানান, ‘ম্যাচের আগে আমরা ড্রেসিং রুমে পায়চারি করছিলাম। সে সময় সবুজ পোশাক পড়া এক পাকিস্তানি সমর্থককে ড্রেসিং রুমে ঢুকতে দেখি। তার মুখে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা ছিল। আমি দেখে ফেলায় সে সামনে এসে তার সঙ্গে মোবাইলে সেলফি তুলতে অনুরোধ করে। আমি নিরাপত্তা রক্ষীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ’
মালান আরও জানান, ‘এতো চেকিংয়ের পরও ক্রিকেটারদের ড্রেসিং রুমে সে কিভাবে এলো, সেটি ভাবনার বিষয়। ক্রিকেটাররা যখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে, তখন সে প্রবেশ করে। আমরা যখন মাঠে প্রবেশ করেছি, তখন আমাদের ক্রিকেট ব্যাগও চেক করা হয়েছে। অথচ একজন আমাদের রুমে প্রবেশ করলো সেদিকে নিরাপত্তারক্ষীরা টেরও পেল না। ’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানি সংয়বাদমাধ্যমগুলোও জানিয়েছিল, লাহোরে ফাইনাল চলাকালীন প্রায় ১০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন। তারা ৫ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এত নিরাপত্তা দিয়ে যে কোনো লাভ হয়নি মালানের কথাতেই তা স্পষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ১২ মার্চ ২০১৭
এমআরপি