ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান ডেভিড পিভার আর বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন দু’জনই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পূর্ণাঙ্গ সফরসূচি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করা না হলেও ঠিক করা হয়েছে টেস্টের সম্ভাব্য ভেন্যু।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। বিসিবির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মিরপুরের ভেন্যু প্রস্তুত করার জন্য গ্রাউন্ডস কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, যদি মিরপুর এরমধ্যে প্রস্তুত না হয়, বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম।
২০১৫ সালের অক্টোবরে নিরাপত্তা ঝুঁকির অজুহাত দেখিয়ে টেস্ট সিরিজটি স্থগিত করেছিল সিএ। এমনকি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা। এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে ফতুল্লা ও চট্টগ্রামে দুটি টেস্ট খেলেছিল রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে আসা অস্ট্রেলিয়া।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এ বছরের শুরুতে। এর মধ্যে অবশ্য কাজের অগ্রগতিও হয়েছে বেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিস বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, পহেলা মে থেকে ঘাস লাগানো শুরু হবে। তাছাড়া মাঠের ত্রিশ গজের বালু ফেলার কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি আউট ফিল্ডেরও অনেক জায়গায় বালু ফেলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিস বিভাগের সিনিয়র ন্যাশনাল ম্যানজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত করতে ভবিষ্যত কর্মসূচির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘মাঠের ঘাস ও বালু ফেলানোর কাজ শেষ হবে মে মাসের মধ্যে। জুন-জুলাই যাবে পরিচর্যা করতে। সে সময় মাঠে পানি দেয়া ঘাস বাড়লে রোল করার মতো বিষয় থাকবে। আগস্ট থেকে মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। ’
গ্রাউন্ডস কমিটির এই সিনিয়র ম্যানেজারের তথ্যমতে, আগস্ট মাসে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে সেপ্টেম্বর মাসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট দিয়ে ক্রিকেট ফিরবে দেশের হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ০১ মে ২০১৭
এমআরপি