কিন্তু একসময় ভালোবাসা গিয়ে গড়ায় ক্রিকেটে। টেনিসের চেয়ে রোমাঞ্চকর মনে হতে থাকে ক্রিকেটেকে।
দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। টেনিসে কখনওই জয় না পাওয়া হ্যান্ডসকম্বের ভালোবাসার ক্রিকেট যখন জয় না হোক তার ব্যাটে রান উপহার দিতে থাকে তিনি শিহরিত হন। যাক কিছুতো এসেছে! এই ভালোলাগা থেকেই ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া এবং লেগে থাকা। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি করেন উইকেটকিপিংও। যেখানে দলের হয়ে অবদান রাখার দারুণ সুযোগ।
‘আমি অল্পস্বল্প টেনিস খেলতাম। কিন্তু বানার্ড টমিকের মতো না। ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠার সময় টেনিস খেলতে আমার ভীষণ ভালো লাগতো। কিন্তু আমি কখনই জিততাম না। ’
সেই ক্রিকেটকে দিনের পর দিন আগলে রেখেছেন। তাতে ফলাফলটাও এসেছে অভাবনীয়। ২৬ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের নির্ভরতার প্রতীক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাদা পোশাতে তার শুরুটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে অ্যাডিলেডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।
আর রঙিন পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু করেছিলেন এবছরের মার্চে পার্থে। সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৮৪ বলে খেলেছিলেন ৮২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস।
হ্যান্ডসকম্ব এখন পুরোদস্তুর একজন ক্রিকেটার। আসন্ন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য দলে ডাক পেয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। কিন্তু আজও টেনিসের প্রতি তার টান এতটুকু কমেনি। টেনিস বল ও ব্যাটের সাথে তার ছেলেবেলার প্রেম আজও অটুট। ক্রিকেটের ব্যবস্ততায় হয়তো খেলা হয়ে উঠে না। কিন্তু তার মানষপটে সেই প্রেম যেন আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে।
সেই ভালোলাগা ভালোবাসা থেকে এখনও সময় পেলে ছুটে যান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গ্যালারিতে। সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের একনিষ্ট ভক্ত তিনি, ‘আমি এখনও টেনিস ভালোবাসি। যখনই সময় পাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখি। আমি এখন ফেদেরার ভক্ত। ও দারুণ খেলে। ’
রোববার (২০ আগস্ট) মিরপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে টেনিস নিয়ে এভাবেই নিজেদের আবেগ-অনুভূতি তুলে ধরেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ২০ আগস্ট, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম