এ রিপোর্ট লেখা অবধি মুশফিক ১০ রানে অপরাজিত। ৫৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৮৮/৫।
দীর্ঘ ১১ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
দলের ওপেনিং ভূমিকায় নামেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটি ভাঙে দলীয় ১০ রানের মাথায়। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরার আগে দুটি বাউন্ডারির দেখা পান তিনি। তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দলীয় ১০ রানেই তিনি সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সৌম্যর হন্তারক কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইমরুল। পরের বলেই উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের কাছে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান। দলীয় ১০ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস আর সাব্বির রহমান দ্রুত ফিরলে বড় বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়েই হুঙ্কার দেন নিজেদের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব ও তামিম। প্যাট কামিন্সের দারুণ ডেলিভারিতে প্রথম ৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বাজে শুরুর পর তামিম, সাকিবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ছিল ৯৬/৩। ৩০তম ওভারে দলীয় শতকের দেখা পায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই সাকিব হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। ৬৫ বলে করেন ৫০। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি সাকিবের ২২তম ফিফটি। সাকিবের পর নিজের পঞ্চাশতম টেস্টে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। ১১৯ বলে আসে তার ২৩তম অর্ধশতক। ২৪টি অর্ধশতক করে তামিমের আগে কেবল হাবিবুল বাশার।
প্যাট কামিন্স ঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সাকিব-তামিম। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে বিদায় নেন ১৪৪ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কায় ৭১ রান করা তামিম। ম্যাক্সওয়েলের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ওয়ার্নারের তালুবন্দি হন টাইগার ওপেনার। সাকিব-তামিম জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১৫৫ রান। যা নিজেদের দ্বিতীয় শতরানের জুটি এবং সর্বোচ্চ (আগেরটা ১৩২ রানের)। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায়।
সাকিব বিদায়ের আগে ১৩৩ বলে ১১টি বাউন্ডারিতে করেন ৮৪ রান।
টেস্ট খেলুড়ে অন্য সব দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি টেস্ট খেললেও, হরহামেশা সুযোগ হয় না অজিদের বিপক্ষে খেলার। ফলে ২০০০ সালে সাদা পোশাকে টাইগারদের অভিষেক হলেও এখন পর্যন্ত ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে মাত্র দুটি সিরিজই খেলা হয়েছে। যেখানে চারটি টেস্টেই থামতে হয়। এর ফলে অভিজাত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত চারটি টেস্টে ড্র পর্যন্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ১১ বছর আগের সেই সর্বসেরা অজিদের ঠিকই কাঁপিয়ে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া: স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশ, উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, জশ হ্যাজেলউড।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৭
এমএমএস/এমআরপি