এটিই বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ব্যাট হাতে সতীর্থরা অনেকেই যেখানে দাঁড়াতে পারেননি সেখানেই খেললেন প্রাণ সঞ্চারকারী ইনিংসটি।
অজিদের স্পিন বিষে নীল হয়ে যেখানে টাইগারদের ডাকসাইটে ব্যাটসম্যানরা অকালেই অক্কা পেয়েছেন সেখানে লোয়ার অর্ডারে নেমেও রীতিমত হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি। যদিও আগের দিন সতীর্থ সাব্বির রহমান দলকে ৬৬ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন। তবে দলের প্রয়োজনে নাসির যেটা করলেন সেটা অনস্বীকার্য।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিতে খেললেন ঠিক যেমনটি তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। দারুণ আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল ব্যাটিংয়ে মোকাবেলা করেছেন লায়ন, প্যাটিনসন ও ও’কিফদের। আগের টেস্টে মিরপুরে খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে। সেটাই হয়তো কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছেন দিলেন চট্টগ্রামে এসে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের স্পিন ও বাউন্সি উইকেটে টিকে থাকতে দিনের শুরু থেকেই সফরকারী বোলারদের বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। কখনও সাঁই সাঁই করে বল চলে যাচ্ছে মাথা ও ঘারের উপর দিয়ে। আবার কখনও অবিশ্বাস্য রকমের বাঁক নিয়ে আঘাত হানতে চাইছে উইকেটে। এমন সংগ্রামের মধ্যেই হঠাৎ পা ফসকিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ওভারে ঘাতক নাথান লায়নের স্পিন বিষে নীল হয়ে ফিরলেন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে।
অবশ্য বেশ দূর্ভাগা ছিলেন এই টাইগার দলপতি। কেননা লায়নের ঘূর্ণায়মান বলটি তার ব্যাটে লেগে বাইরেও চলে যেতে পারতো। সেটা না করে গিয়ে আঘাত হানলো তার অফস্ট্যাম্পে। বেলস উড়ে গেল। মুশফিকও হাঁটা শুরু করলেন ড্রেসিং রুমের পথে।
মুশফিকের বিদায়ের পর অষ্টম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন নাসির। খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যারিয়ারের লাকি সেভেন টেস্ট অর্ধশতকের। কিন্তু সেখানে বাধ সাধলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। ১১১তম ওভারের একেবারে প্রথম শর্ট লেংথের বলটি কাট করতে গিয়ে হলেন কট বিহাইন্ড।
নাসিরের বিদায়ের পর অবশ্য আর প্রাণের দেখা মেলেনি। বাকি দুই উইকেট দ্রুত হারিয়েছে স্বাগতিক শিবির। ১১ রানে মিরাজ রান আউট ও ব্যক্তিগত ৯ রানে তাইজুলকে নাথান লায়ন স্মিথের ক্যাচে পরিণত করলে ৩০৫ রানে থামে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরএম