ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুশফিকের বিদায়, চতুর্থ উইকেট নেই

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
মুশফিকের বিদায়, চতুর্থ উইকেট নেই ছবি: সংগৃহীত

বিপাকে পড়া বাংলাদেশ দলীয় ১০০ রান করার আগেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে। সবশেষ বিদায় নিয়েছেন দলপতি মুশফিক। এখনও প্রোটিয়াদের থেকে ৩৩৪ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৯২ রান। উইকেটে আছেন মাহমুদুল্লাহ (১৪)।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ৪২৬ রানে পিছিয়ে অলআউট হয় সফরকারীরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রান তুলে অলআউট হয় মুশফিকের দল। ফলোঅনে আবারো ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা।  দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইমরুল কায়েস শুরু করেন। দিনের শুরুতে রাবাদার বলে ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩ রান করা সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ২ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি। দলীয় ২৯ রানের মাথায় রাবাদার বলে ব্যক্তিগত ১১ রান করে ফেরেন মুমিনুল। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩২ রান করে অলিভিয়েরের বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হন ইমরুল।

দলীয় ৯২ রানের মাথায় বিদায় নেন মুশফিক। ওয়েইন পারনেলের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে করেন ২৬ রান।

দ্বিতীয় দিন ইনিংস ঘোষণার আগে প্রোটিয়ারা ১২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৭৩ রান। প্রথম ইনিংসে দলীয় ১৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৯ রান করে কেগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর দলীয় ২৬ রানের মাথায় অলিভিয়েরের বলে ডি ককের তালুবন্দি হন ৪ রান করা মুমিনুল। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় অলিভিয়েরের দ্বিতীয় শিকারে সাজঘরে ফেরেন ৭ রান করা মুশফিক। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নতুন বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই ওয়েইন পারনেল ফিরিয়ে দেন ৪ রান করা মাহমুদুল্লাহকে। ২৬ রান করা ইমরুল দ্রুত বিদায় নেন। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

স্রোতের বিপরীতে দলকে টেনে ৭৭ বলে ৭০ রান করেন লিটন দাস। ১২০ ওভার কিপিং করেও দারুণ ব্যাট করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১৩টি বাউন্ডারির মার। তার বিদায়ে অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের। কেশব মহারাজের বলে বিদায় নেন মোস্তাফিজ। রাবাদার পঞ্চম শিকারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১০ রান করা রুবেল।

এর আগে ওপেনার এলগার টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হাঁকান, ১৫২ বলে ১৭টি বাউন্ডারিতে করেন ১১৩। মাত্রই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা আরেক ওপেনার মার্কারাম ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বোল্ড হন। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মার্কারাম ১৮৬ বলে ২২টি চারের সাহায্যে করেন ১৪৩ রান। দলীয় ২৮৮ রানের মাথায় তেমবা বাভুমাকে (৭) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন শুভাশিস।

মোস্তাফিজের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেন হাশিম আমলা। ১১৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। এরপরই সেঞ্চুরি হাঁকান দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। মোস্তাফিজকে সীমানা ছাড়া করে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১৪৭ বলে ১২টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। ইনিংসের ১১৪তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন আমলা। শুভাশিসের করা বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১৬৩ বলে ১৭টি চারের সাহায্যে আমলা করেন ১৩২ রান। দলপতি ডু প্লেসিস ১৮১ বলে ১৫টি চারের সাহায্যে করেন অপরাজিত ১৩৫ রান। কুইন্টন ডি কক ২৭ বলে দুটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৮ রান। বাংলাদেশের পেসার শুভাশিস তিনটি আর রুবেল একটি করে উইকেট তুলে নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ৮ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।