কিম্বার্লিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন মুশফিক। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে যে কোনো ফরম্যাটে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো একমাত্র ব্যাটসম্যান এখন তিনি।
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে মুশফিকের ব্যাটিং পজিশন এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বদলেছে। তবে চার নাম্বারেই নিজেকে ফিট দাবি করতে পেরেছেন তিনি। যেখানে গতকালও ব্যাটিং করে পেলেন সেঞ্চুরি।
নিচে সংখ্যা সংখ্যায় বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকার প্রথম ওডিআই দেওয়া হলো:
• ৩৯.০৩-চারে ব্যাটিং করে মুশফিকের ব্যাটিং গড়। এই পজিশনে ৬০ ইনিংসে ব্যাট করে ২১৪৭ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের পাঁচটি সেঞ্চুরির সবকটিই এসেছে এখান থেকে। অথচ অন্য পজিশনে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া তার গড় ২৮.৭৯(১০৩ ইনিংসে ২৩৬১)।
• ৫-টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় মুশফিক তৃতীয়। ওপেনার তামিম ইকবালে (৯) ও সাকিব আল হাসান (৭) তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছে। মুশফিকের গতকালের অপরাজিত ১১০ রান তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেছিলেন।
• ৫-জন ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের বেশি পেয়েছেন। গতকাল এই রেকর্ডে প্রবেশ করলেন সাকিব। তার আগে সনথ জয়সুরিয়া, শহীদ আফ্রিদি, জ্যাক কলিস ও আব্দুল রাজ্জাকের অধীনে রকের্ডটি ছিলো।
• ৮-বার দ.আফ্রিকায় এক ওয়ানডেতে তিন বার তার বেশি সেঞ্চুরি হয়েছে। যার চারবারই এসেছে ২০১৬ থেকে। ম্যাচগুলো যথাক্রমে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও কালকের বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে।
• ৫-বার দ.আফ্রিকার ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসগুলো মধ্যে কুইন্টন ডি ককের রয়েছেন। গতকাল করেছেন অপরাজিত ১৬৮। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড অবশ্য ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্যারি কারেস্টন করেছেন ১৮৮। আর গত বছর সেঞ্চুরিয়ানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডি কক করেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৮ রান।
• ৬-বার দ.আফ্রিকান ওপেনাররা এক ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ডি কক (১০৯) ও হাশিম আমলা (১৫৪) এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও একবার করেছিলেন।
• ১১-বার বাংলাদেশ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হেরেছে। যেটি যেকোনো দল হিসেবে সর্বোচ্চ। এর পরের অবস্থান জিম্বাবুয়ের (৭)। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে এ নিয়ে তৃতীয়বার এমনটি হলো। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু’বার করে।
• ২-গতকাল আমলা ও ডি ককের ২৮২ রানের জুটি হয়েছে। ওপেনিং জুটিতে এর ওপর রয়েছে আর মাত্র দুটি জুটি। ২০০৬ সালে হেডেংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৬ করে রেকর্ডবুকে আছেন শ্রীলঙ্কার জয়সুরিয়া ও উপল থারাঙ্গা। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার (২৮৪) অ্যাডিলেডে এই বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন।
• ০-এর আগে ওয়ানডেতে টার্গেট তাড়া করে কোনো উইকেট না হারিয়ে এত রান কেউ করেনি (আমলা ও ডি কক জুটি ২৮৪ রান)। আগের রেকর্ডটি ছিলো গত বছর এজবাস্টনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের (২৫৫)। দ.আফ্রিকার আগের রেকর্ডটি ছিলো ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে কলকাতায় ১৮৯ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস