ঘরের মাঠে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিশ্রাম চেয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু অধিনায়ককে টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম দেয়নি বোর্ড।
তবে কিংবদন্তি দ্রাবিড়ের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্লেয়ারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলানোটা খুবই দরকার। এখন তো প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়। তাই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে ক্রিকেটারদের ব্যবহার করতে হবে। সবারই বিশ্রাম দরকার। বিরাট যখন বিশ্রাম চাইছে, তখন তো তাকে সেটা দিতে হবে। সে কেন বিশ্রাম চাইছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কী আছে? জলঘোলা করারই বা কী দরকার?’
এদিকে শুধু বিরাটদের সম্পর্কে যে দ্রাবিড়ের এমন মনোভাব, তা নয়। ভারতীয় অনূর্ধ্ব–১৯ দল এবং ‘এ’ দলের দায়িত্ব তার কাঁধে। তাই একেবারেই চান না, ছোটরাও অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলুক, ‘অনূর্ধ্ব–১৯ দলের দায়িত্ব যখন নিলাম, একটা ব্যাপার চোখে পড়েছিল, দলের ক্রিকেটাররা বড্ড বেশি ক্রিকেট খেলছে! যেটা ভয়ানক ব্যাপার। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, কিছুতেই একজন ক্রিকেটারকে একটার বেশি বিশ্বকাপ খেলতে দেব না। ’
গত বিশ্বকাপে খেলা পাঁচজন ক্রিকেটার ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ডাক পেতেই পারত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। দ্রাবিড় বলেন, ‘ওয়াশিংটন সুন্দর, জিশান আনসারি, মহীপাল লোমরর প্রত্যেকেই রঞ্জি ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত থাকবে। আর ওদের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাও কোনো রকম চাপ দেয়নি অনূর্ধ্ব–১৯ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। এখন প্লেয়ারদের মানসিকতা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। একটা কথা পরিস্কারভাবে বলতে চাই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের হয়ত দরকার আছে। তবে সেই দরকারটা সীমিত। তাই মনে করি, খুব বেশি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলা উচিত নয়। তার চেয়ে বরং ছোটরা ধীরে ধীরে দাদাদের ক্রিকেট খেলায় মন দিক। ’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং একদিনের লিগ নিয়ে প্রশ্ন করতে দ্রাবিড় জানিয়েছেন, ‘একদিনের ক্রিকেট এবং সিরিজের একটা তাৎপর্য থাকা দরকার। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, ত্রিদেশীয় বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সেই তাৎপর্য থাকে না। একদিনের ক্রিকেটে লিগ শুরু হলে সেই তাৎপর্যটা বজায় থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস