মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা একটায় মাঠে নামে চিটাগং ও খুলনা। ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে মিসবাহ-উল-হকের চিটাগং।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে বিদায় নেন। এর দুটি উইকেট তুলে নেন চিটাগংয়ের বাংলাদেশি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন রিলে রুশো ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দলের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু রানও তুলে দেয় এই জুটি। কিন্তু আগের ম্যাচের ফর্ম এ ম্যাচেও ফিরিয়ে আনেন চিটাগংয়ের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। দু’জনকেই প্যাভিলিওনের পথ দেখান টাইগার এ বোলার। ২৫ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকান রুশো আর ৩৩ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪০ করে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ।
শেষ দিকে অবশ্য পঞ্চম উইকেট জুটিতে ব্যাটে ঝড় তোলেন বাংলাদেশি আরিফুল হক ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। দুজনে মিলে মাত্র ২২ বলে ৫৫ রান তোলেন। ১৯তম ওভারে শুভাশিস রায়ের শেষ বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ বলে দুটি চার ও তিনটি বিশাল ছক্কায় ৩০ করে বিদায় নেন ব্র্যাথওয়েট। ২৫ বলে ৪০ রান করে ইনিংসের শেষ বলে তাসকিনের তৃতীয় শিকার হন আরিফুল। তার ইনিংসটি ৩৩ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কা সাজানো ছিল। শেষ ৫ ওভারে খুলনা ৬৯ রান তোলে।
ভাইকিংস পেসার তাসকিন ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। সানজামুল ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শুভাশিষ রায় এবং দিলশান মুনাবেরা।
১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার বোলারদের সামনে বিপাকে পড়ে ভাইকিংস ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার লুক রঞ্চি (২) আর সৌম্য সরকার (০) দ্রুতই বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা এনামুল হক বিজয় করেন ১৪ বলে দুই চার, এক ছক্কায় ১৮ রান। দিলশাল মুনাবেরা ১০ রানে বিদায় নেন। দলপতি মিসবাহ ৩৭ বলে করেন ৩০ রান।
সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। তার ২৭ বলের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল একটি ওভার বাউন্ডারির মার। তানভীর হায়দার ১০ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার আবু জায়েদ ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় তুলে নেন ৪টি উইকেট। শফিউল ইসলাম একটি, কার্লোস ব্রাথওয়েট একটি আর জোফরা আর্চার একটি করে উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরপি