রোববার (১২ নভেম্বর) পিএসএল প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাটিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ উপভোগ করবেন পাকিস্তানের দর্শকরা।
চলতি বছরের মার্চে দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল হয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এবার শুধু ফাইনাল নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বদলে লাহোরে দু’টি প্লে-অফ ম্যাচ আয়োজনে চোখ রাখছে পিসিবি।
নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমরা প্রতিজ্ঞা করছি এটা (পিএসএল ফাইনাল) করাচিতে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ’ পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ভেন্যুটিতে বর্তমানে ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে। পুরোপুরি প্রস্তুত হতে সময় লাগবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এ নিয়ে আত্ববিশ্বাসী শেঠি, ‘ওভারটাইম কাজের ব্যাপারে আমরা ন্যাশনাল লজিস্টিকস সেলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্বরত অফিসিয়াল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে প্রতিশ্রতি দিয়েছে যে মার্চের ফাইনালের জন্য প্রস্তুত থাকবে করাচি স্টেডিয়াম। ’
পাকিস্তানে আরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে শুধুমাত্র লাহোর ভেন্যু থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা করছে পিসিবি। গত মাসে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রেগ ডিকাসন করাচি পরিদর্শনে গিয়ে সিনিয়র নিরাপত্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। যিনি আইসিসিকে পরামর্শ ও ফিকা’র (ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার’স অ্যাসোসিয়েশনস) এর সঙ্গে কাজ করেন যা ওয়ার্ল্ড একাদশ সিরিজ আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সবশেষ বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে টিম পাকিস্তান।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখা যায়নি করাচিতে। এরপর থেকে পাকিস্তানের সব মেজর ম্যাচগুলো গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হয়ে আসছে।
সেবার করাচিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল। এই ভেন্যুতে সবশেষ মেজর আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ২০০৮ এশিয়া কাপ। যেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান করাচিতে খেলেছিল। পাকিস্তানের অন্য যেকোনো ভেন্যুর চেয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট আয়োজন করেছে করাচি এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটিকে পাকিস্তান দলের দুর্গ হিসেবে দেখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম