টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডায়নামাইটস দলপতি সাকিব আল হাসান। পেসার মোহাম্মদ শহীদকে বসিয়ে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে নাদিফ চৌধুরীকে যুক্ত করে ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট।
ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা স্বস্তি পায়নি খুলনা। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ২৪ রান। মাইকেল ক্লিনগার ১৪ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে ধীমান ঘোষ করেন মাত্র ২ রান। দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১০ বলে ১৪ রান করেন।
এরপর কিছুটা হাল ধরেন রিলে রুশো এবং কার্লোস ব্রাথওয়েইট। ৩৩ বলে ৫৪ রান তুলে নেয় এই জুটি। ৩০ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করেন রুশো। ২৫ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রাথওয়েইট। ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ২৯ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রাথওয়েইট। আরিফুল হক ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকা ৭ বোলার ব্যবহার করে। শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি, সাকিব আল হাসান ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ১টি, আবু হায়দার রনি ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২টি, সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। কাইরন পোলার্ড ১ ওভারে ১৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। খালেদ আহমেদ ১ ওভারে ৯ রান দিয়ে উইকেট পাননি।
সিলেট পর্বে গত ৫ নভেম্বরের ম্যাচে খুলনাকে ৬৫ রানে হারিয়ে জয়ে ফেরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস। দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে টানা দুই ম্যাচ জিতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিপিএলের পঞ্চম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে (৪ নভেম্বর) সিলেট সিক্সার্সের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার মানে ঢাকা। সিলেটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনাকে হারানোর পর ঢাকা পর্বের (১১ নভেম্বর) প্রথম দিনে সিলেটের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নেয় সাকিবের দল। নাসিরদের ১০১ রানে থামিয়ে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
অন্যদিকে, সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ছন্দে ফেরে খুলনা টাইটান্স। ঢাকায় এসে মোমেন্টাম ধরে রাখে মাহমুদউল্লাহর টিম। আগের ম্যাচে তারা চিটাগং ভাইকিংসকে ১৮ রানে পরাজিত করে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
পয়েন্ট টেবিলে ৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সমান ম্যাচে সমান পয়েন্টে যথাক্রমে তিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চার নম্বরে খুলনা। ৫ ম্যাচ খেলে ৩ জয় ও টানা দুই হারে শীর্ষে থাকা সিলেটের সংগ্রহ ৬। তলানির তিন দল চিটাগং ভাইকিংস, রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংসের অর্জন একটি ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট। সৌম্য সরকারের চিটাগং ও মাশরাফির রংপুর খেলেছে তিনটি করে ম্যাচ। এক ম্যাচ বেশি খেলেছে মুশফিকের রাজশাহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম/এমআরপি