শনিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে রাজশাহীর হয়ে বল হাতে মাঠে নামতে পারেননি পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামি ও ক্যারিবীয় পেসার কেসরিক উইলিয়ামস। তাদের পরিবর্তে যারা খেলেছেন তারা ততটা অভিজ্ঞ নয় বলেই ঢাকা ২০১ রানের বড় সংগ্রহ গড়তে পেরেছে, যা টপকাতে গিয়ে চাপে পড়ে ১৩৩ রানেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে বলে মত স্যামির।
স্যামি জানান, ‘আজকের ম্যাচে আমাদের প্রধান দুই বোলার মোহাম্মদ সামি ও কেসরিক উইলিয়ামস ফিট ছিলো না, তাই আমাদের বোলিং বিভাগ ততটা ভালো ছিলো না। অন্যদিকে ঢাকা দারুণ কিছু প্লেয়ার নিয়ে আমাদের অনভিজ্ঞ বোলারদের উপর চড়াও হয়েছে। ’
তাছাড়া ফিল্ডিংয়ে রাজশাহীর দৈন্যতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। একটি দুটি নয়, সাকিবদের চার-চারটি ক্যাচ ছেড়েছে স্যামি সতীর্থরা। এর প্রথমটি ছিলো সপ্তম ওভারে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন নাদিফ চৌধুরী। যা রাজশাহী ফিল্ডাররা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয়টি উঠেছিল ৯ম ওভারে। এবারও বোলার সেই মিরাজ। তার দ্বিতীয় ডেলিভারিটি মিডউইকেটে তুলে দিয়েছিলেন সেই নাদিফ। কিন্তু মুমিনুল তা হাতে জমাতে পারেননি। পরের দুটি ক্যাচ ছিলো বিধ্বংসী কাইরন পোলার্ডের। ১৭তম ওভারে ফরহাদ রেজার তৃতীয় বলটি উঠিয়ে মারলে তা ডিপ পয়েন্টে সামিত প্যাটেলের হাতে জমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্যাটেল তা পারেননি। এরপর ১৯ম ওভারে আরেবকবার প্রায় পা হরকিয়েছিলেন পোলার্ড। ওই ওভারে ফরহাদ রেজার দ্বিতীয় বলটি তুলে দিয়েছিলেন ডিপ মিডউইকেটে। কিন্ত সেখান থেকে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হক।
অনভিজ্ঞ বোলিংয়ের পাশাপাশি সতীর্থদের ক্যাচ মিসের এমন মহড়াতে তাদের জয় হাতছাড়া হয়েছে বলে বিশ্বাস স্যামির, ‘আমাদের ফিল্ডিংও আজ খুবই বাজে ছিলো। একটি ম্যাচে যদি আপনি চারটি ক্যাচ মিস করেন তাহলে দিন শেষে তার খেসারত কিন্তু আপনাকে দিতেই হবে। সেটিই আমরা করেছি। ’
ঢাকার বিপক্ষে ৬৮ রানের এই হারে ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ নম্বরে জায়গা করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রাজশাহীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি