দু’দলেই বিদেশি বিগ-হিটারের কমতি নেই। টি-২০ ক্রিকেটে যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকার জার্সিতে বিদেশিদের মধ্যে এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড, শহীদ আফ্রিদি যেকোনো সময় গতিপথ বদলে দিতে পারেন। স্পিন বোলার থেকে আক্রমণাত্মক অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা সুনীল নারাইনও কম যান না। সব মিলিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চে ভরপুর উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচই উপভোগ করবেন দর্শকরা।
লিগ পর্বে দু’বারের মুখোমুখি দেখায় রংপুর ও ঢাকা দু’দলই এক ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। প্রথমবারের মতো বিপিএল ফাইনাল খেলছে রংপুর রাইডার্স। ২০১৫ সালে তারা প্লে-অফ খেলেছিল। সেবার অধিনায়ক ছিলেন সাকিব অাল হাসান।
রংপুর ও ঢাকা দু’দলই লিগ পর্বের নাম্বার ওয়ান দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চূড়ান্ত মঞ্চের টিকিট কাটে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তামিমদের মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯৫ রানের দাপুটে জয়ে সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত করে ডায়নামাইটস। এলিমিনেটর ম্যাচে গেইলের অপরাজিত ঝড়ো সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইটান্সকে বিদায় করে রংপুর। দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট হওয়ার মিশনে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জ্বলে ওঠেন অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ও ম্যাককালাম (৪৬ বলে ৭৮)। ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ২০১৫ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বিপিএলের আগের চারটি শিরোপাই মাশরাফি ও সাকিবের দখলে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি দু’জন। একজন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। আরেকজন টি-টোয়েন্টির পর টেস্টের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন।
সাকিরের সামনে ব্যাক-টু-ব্যাক শিরোপা জয়ের হাতছানি! অধিনায়ক হিসেবে চারবার ট্রফির জয়ের স্বাদ নিতে মুখিয়ে আছেন মাশরাফি। সাকিবের এটি তৃতীয় ফাইনাল (তিনবারই ঢাকার হয়ে, প্রথম ও তৃতীয় আসরে ছিলেন অন্য টিমে)। দ্বিতীয় এডিশনে মাশরাফির অধীনে খেলেছিলেন।
প্রথম দুই আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে শিরোপা জিতিয়েছেন মাশরাফি। তৃতীয়বার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে যোগ দিয়ে বাজিমাত করেন। এবার ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’র হাত ধরে রংপুর রাইডার্স বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হবে নাকি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তকমাটা ঢাকার গায়েই থাকবে সেটিই এখন দেখার বিষয়!
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে বিধ্বস্ত করা একাদশই ধরে রাখতে পারে ঢাকা। সফল বোলিং অ্যাটাক সত্ত্বেও জায়গা করে নিতে পারেন মোহাম্মদ আমির। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে রংপুর একাদশে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম।
রংপুর একাদশ (সম্ভাব্য): ক্রিস গেইল, জনসন চার্লস, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, মোহাম্মদ মিথুন (উইকেটরক্ষক), রবি বোপারা, নাহিদুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সোহাগ গাজী, ইসুরু উদানা, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন।
ঢাকা একাদশ (সম্ভাব্য): মেহেদী মারুফ, এভিন লুইস, জো ডেনলি, কাইরন পোলার্ড, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সুনীল নারাইন, জহুরুল ইসলাম (উইকেটরক্ষক), আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ সাদ্দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম