বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডাকা শুনানির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ দলের তারকা ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘উনারা উনাদের কনসার্নটা (উদ্বেগ) আমাকে জানিয়েছেন।
একই প্রসঙ্গে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সহসভাপতি মাহমুব আনাম বলেন, ‘উইকেট নিয়ে তামিমের সমালোচনার প্রেক্ষিতে কী সিদ্ধান্ত নেবে তা বোর্ডের অভ্যন্তরীন বিষয়। সবার সামনে বলা যাবে না। আপনাদের বুঝতে হবে আমাদের ডেকোরাম আছে। তাছাড়া তামিম জাতীয় দলের প্লেয়ার। আমরা তাকে যা জিজ্ঞেস করেছি এবং সে যা বলেছে সেটা আমাদের দুই পক্ষের মধ্যেই থাকবে। তবে এটুকুই বলতে পারি উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ’
শব্দ চয়নে তামিমকে আরও সতর্ক হতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শব্দচয়ন কীভাবে আপনি করবেন এবং কতটুকু বলতে পারবেন সেটা সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে সকল প্লেয়ারের জানা উচিত। আপনি অবশ্যই বলতে পারেন এটি একট ডাবল পেসড উইকেট, টার্নিং উইকেট। এমনটি আপনি ফাস্ট উইকেটও বলতে পারেন। তিনি বলতে পারতেন আরও কুইক বল আসলে আমি আরও স্ট্রোক খেলতে পারতাম। কোড অব কনডাক্টে বলা আছে তিনি কী বলতে পারবেন। কোড অব কনডাক্টে যে সীমাবদ্ধতা আছে তার থেকে বেশি করেছে বলেই তাকে ডেকেছি। ’
গত ২ ডিসেম্বর রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে লো-স্কোরিং ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরপুরের উইকেট নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন তামিম। তিনি বলেছিলেন, ‘দশ দিন এই মাঠে খেলা হয়নি, উইকেটের বিশ্রাম হয়েছে। এরপরও সেই উইকেট! আমার কাছে যে জিনিসটা খারাপ লাগছে, এতগুলো দর্শক আসলো, তারা এসে যদি ৯৭ রানের খেলা দেখে এটা তাদের জন্য ভীষণ হতাশার। এমন জঘন্য উইকেটে খেলা হলে তো সম্ভব না। ’ তার আগে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উইকেটকে ‘হরিবল’ বলেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম