কেননা বাংলাদেশ থেকে এর আগে কোন ক্রিকেটারই বিশ্ব ক্রিকেটের নীতি নির্ধারণী হেভিওয়েটের এই সভায় যোগ দিতে পারেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাল-মন্দের ব্যাপারগুলোও এতোদিন তাদের সামনে প্রত্যক্ষভাবে তুলে ধরা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন সাকিব, ‘উচ্ছ্বসিত অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেক বড় একটা সম্মাননা। একই সাথে দায়িত্বও। কারণ এর আগে হয়তো মিটিংগুলো যখন হয়েছে বাংলাদেশি কেউ ছিলো না। আমরা কি সুবিধা ফেস করি কিংবা প্রবলেম ফেস করি এই সম্পর্কে ওদের আইডিয়া কম থাকতো। যেগুলো আমি শেয়ার করতে পারবো। ’
ভিডিওতে দেখুন এমসিসি সভা নিয়ে সাকিবের উচ্ছ্বাস:
নিজের প্রস্তুতি নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখনও প্রস্তুতি নেইনি তবে থাকবে। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হবে। ওই এজেন্ডাগুলো আমি জানি, এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এখন যেটা হবে এগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনার বিষয় আছে। একটু বোঝার ব্যাপার আছে। এগুলো নিয়ে যেহেতু আলোচনা হবে তাই অপ্রস্তুত অবস্থায় তো যাওয়া ঠিক হবে না। ’
কী হয় এমসিসি (মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব) ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সভায়? প্রশ্নটি অনেকের মনেই আসতে পারে। বিশ্ব ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিক নানাবিধ বিষয় নিয়ে এই কমিটি আলোচনা করে। ক্রিকেটের আইন-কানুন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ভালো-মন্দ সবকিছুই নিয়ে আইসিসিকে সুপারিশ করে এই কমিটি। পরে তা আইসিসি সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন হয়।
আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি সিডনিতে অনুষ্ঠেয় এই সভায় সাকিব আল হাসানের সাথে আছেন সাবেক ক্যারিবীয় পেসার ইয়ান বিশপ, শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এবং নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও পেস অলরাউন্ডর সুজি বেটস।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতে থাকেন সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা। বছরে দুবার করে বসে এই সভা। যেখানে এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসানকে। কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং।
চলতি বছরের দ্বিতীয় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে আগস্টের ৬ ও ৭ তারিখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ৪ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম