ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ত্রিদেশীয় সিরিজে শহর জুড়েই নিরাপত্তা জোরদার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
ত্রিদেশীয় সিরিজে শহর জুড়েই নিরাপত্তা জোরদার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তিন জাতির এই টুর্নামেন্টকে সাফল্যমন্ডিত ও উৎসবমুখর করে তুলতে এরই মধ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের ভেন্যু মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক প্রেস বিফিংয়ে একথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি স্টেডিয়াম, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর ও স্টেডিয়ামের ভেতরকার গ্যালারির নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন।

‘অনেকদিন পর আমাদের দেশে ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটিকে সাফল্যমন্ডিত ও উৎসবমুখর করতে সুদৃঢ় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই লক্ষ্যে বিসিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমরা সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের চারস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা নেয়া হবে। থাকবে আমাদের পোষাকে এবং সাদা পোষাকে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ’

‘আমাদের মিরপুর স্টেডিয়ামসহ ১০ নাম্বার গোলচত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। এবং কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রত্যকটা মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যেন গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে সবাই সিটপ্ল্যান অনুযায়ী বসে। আমাদের সার্ভিলেন্স টিম থাকবে একটা ভেতরে এবং একটা বাইরে। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনেও বিসিবি’র নিরাপত্তা কর্মী এবং পুলিশের সদস্যরা সতর্ক পাহারায় থাকবে। ’-যোগ করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

এরপর ডিএমপি কমিশনার বাতলে দেন কী কী দ্রব্যাদি নিয়ে স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না, ‘গেটে যারা আসবে প্রতিটি দর্শনার্থী টিকিট বহন করবে এবং টিকিট ছাড়া কেউই স্টেডিয়ামে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবং আমাদের যে মেশিন আছে সেটার মাধ্যমে গেইটে টিকিট সুইপিং করে ভেতরে ঢুকেতে দেয়া হবে। পাশাপাশি সবার দেহ তল্লাশি করা হবে। গেইটের পর ভেতরে প্রবেশের সাথে সাথে আরেকবার তল্লাশি করা হবে। কোনো ধরণের ব্যাগপ্যাক, ব্যাগ, ধাতব বস্তু, দাহ্য পদার্থ, পানির বোতল, ম্যাশ ও দিয়াশলাই নিয়ে কাউকে স্টেডিয়ামের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এখানে আমাদের ভিওসি সেন্টার থাকবে। ভিওসি সেন্টার থেকে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা মনিটর করবো। প্রস্তুত থাকবে আমাদের সোয়াট টিমের সদস্যরা। এবং পুরো স্টেডিয়ামটি আমরা প্রতিটি খেলার আগে সুইপিং করে নিব। ’

সিরিজ চলাকালীন টিমের চলাচলের পথেও বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলে উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান  মিয়া, ‘মাঠে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম প্রস্তুত থাকবে। খেলোয়াড়রা টিম হোটেল থেকে ভেন্যু পর্যন্ত যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা ইতোমধ্যেই নিয়েছি। কচুক্ষেত থেকে আসা এবং যাওয়ার সময় সকল দোকানপাট নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রাখতে হবে। এবং জাল টিকিট যাতে বিক্রি করতে না পারে, ম্যাচ যেন ফিক্সিং করতে না পারে সেজন্য বিসিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনি সতর্ক দৃষ্টি রেখে কাজ করবে। টিকিট কালোবাজারি যেন না হয় সেজন্য আমাদের ভিজিল্যান্স টিম কার্যকর থাকবে। শুধু এই স্টেডিয়ামেই নয় এই সিরিজকে সামনে রেখে আমরা পুরো ঢাকা সিটি জুড়েই একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা  নিয়েছি। যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানা হয়েছে। সেখানে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হবে। ’

একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।