প্রথমেই আসা যাক বোলিংয়ের আলোচনায়। পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১’শ উইকেটের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে পেসার রুবেল হোসেন।
মোস্তাফিজুর রহমানের সামনে আরও দারুণ কিছুর সম্ভাবনা ছিল। ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে পঞ্চাশ উইকেটের শিকারি হতে পারতেন এই কাটার স্পেশালিস্ট। কিন্তু সেটা হয়নি। ১৯ ম্যাচে লঙ্কান অজন্তা মেন্ডিসের করা সেই রেকর্ড ফেলে এসেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ২২ ম্যাচে মোস্তাফিজের সংগ্রহ ৪৪ উইকেট। এই ম্যাচেই যদি ৬ উইকেট নিতে পারতেন তা হলে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ৫০ উইকেটের মালিক হতেন তিনি। কিন্তু পারেননি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার উইকেট ১টি। তাতে অবশ্য খুব ক্ষতি হয়নি। নাম থাকছে এই তালিকার উপরেই।
এদিকে ব্যাট হাতে দারুণ একটি মাইলফলক অপেক্ষা করছে টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের জন্য। টুর্নামেন্টে আর ৯১টি রান সংগ্রহ করতে পারলেই ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ হাজার রান স্পর্শ করে ফেলবেন তিনি। বর্তমানে তার মোট সংগ্রহ ১০,৯০৯।
এই টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই হাজার রানের দেখা পেয়ে যেতে পারেন ইমরুল কায়েস। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ পর্যন্ত ৭০ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১৯৯৮ রান। তবে এই দুই রানের অপেক্ষা ইমরুলের বেড়েছে। কেননা বাঁহাতে আঙ্গুলে ইনজুরি থাকায় প্রথম ম্যাচে তার একাদশে ঠাঁই মেলেনি।
মাইলফলকের সামনে টাইগার হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানও। ৪৬ ম্যাচে ৯৮৫ রান নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু করা সাব্বিরের দরকার আর ১৫টি রান। তা হলে ওয়ানডেতে এক হাজার রান পূর্ণ করে ফেলবেন তিনি।
আর ফিল্ডিংয়ে ওয়ানডেতে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা অবস্থানে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৪৮ ম্যাচে ৪৮ ক্যাচ তার। আর মাত্র ২টি ক্যাচ নিতে পারলে এই টুর্নামেন্টেই ৫০ ক্যাচের মাইলফলকে পৌঁছে যাবেন তিনি। ৫৫ ক্যাচ নিয়ে আছেন সবার ওপরে আছেন টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ম্যাশের সামনে অবশ্য আরও একটি মাইলফলকের হাতছানি আছে। এই টুর্নামেন্টেই তিনি হতে পারেন দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জেতা অধিনায়ক। ৫০ ম্যাচে মাশরাফি এই পর্যন্ত পেয়েছেন ২৭টিতে জয়। ৬৯ ম্যাচে ২৯ জয় নিয়ে হাবিবুল বাশার আছেন সবার ওপরে। এই টুর্নামেন্টে ২টি জয় হলেই তাকে ছুঁয়ে ফেলবেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস