আসন্ন টি টোয়েন্টি সিরিজটিও টাইগারদের এভাবেই কাটবে। উদ্বেগের বিষয় হলো, মার্চের ৬ তারিখ থেকে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ‘নিদাহাস’ ট্রফিতেও হেড পাচ্ছেন না সাকিব-তামিমরা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বোর্ড পরিচালকদের সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানান বিসিবির মিডিয়ার কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস।
তাহলে গুরু দায়িত্বটি কে সামলাবেন? দুই সিরিজেই টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা অঘোষিত হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন? সে বিষয়য়েও স্পষ্ট কিছুই বললেন না মিডিয়া কমিটির এই বস। তবে এটা তার কথায় এটা স্পষ্ট, হয়তো থাকছেন স্থানীয় কেউই। কেন কোচ নিয়োগ দেরি হচ্ছে দিলেন তার ব্যাখ্যা।
‘বাংলাদেশের জন্য যে ধরনের কোচ দরকার তেমন একজনকে নিয়োগ দিতে চাওয়াতেই দেরি হচ্ছে। হুট করে কাউকে নিয়োগ দিতে চাচ্ছি না। নিদাহাস ট্রফির আগে ব্যাটিং কোচ হিসেবে মাইকেল বেভান ও নিল ম্যাকেঞ্জি বিবেচনায় আছে। তবে এত কম সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাটিং কোচও হয়তো আনা সম্ভব হবে না। আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছে। কিছু টার্মস এন্ড কন্ডিশন আছে। তাদের সঙ্গে যেগুলো নিয়ে আলোচনায় চূড়ান্ত অবস্থায় আসেনি। এখনও বিবেচনায়। ’
হেড কোচ নেই, ব্যাটিং কোচও নেই। আছেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি, ফিল্ডিং ও সহকারি কোচ রিচার্ড হ্যালসল ও ট্রেনার মারিও ভিল্লা ভারায়ন। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, একটি স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, ভূগোলে শিক্ষক থাকলেও নেই প্রধান শিক্ষক। সেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাজটি দ্রুতই সেরে ফেলতে চাইছে বিসিবি।
‘একটা স্কুলে সবধরনের শিক্ষক থাকতে পারে। অঙ্কের শিক্ষক, ভূগোলের শিক্ষক, কিন্তু হেড মাস্টার তো দরকার। সবধরনের শিক্ষক আছে, হেডমাস্টার নেই। আমাদের একজন হেড কোচ অবশ্যই দরকার। এটা খেলোয়াড়রাও বলেছে। কয়েকদিন আগে কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় বলছিল, যত দ্রুত সম্ভব হেড কোচ প্রয়োজন তাদের। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস