তাই এই সিরিজ শেষেই দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন সুজন। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফিতে তার দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা থাকলেও নিজেই তা উড়িয়ে দিলেন, ‘খারাপ ফলের দায় আমি নিতেই পারি।
সুজন আরও বলেন, ‘নিদাহাস কাপে বোর্ড ঠিক করবে (দায়িত্বে কে থাকবে)। কারণ বোর্ডই আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। কাজ করবো না, এই কথা আমি কখনোই করতে চাই না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাঙালি কেউ কাজ করলেই সবচেয়ে বড় সমস্যা। দল হেরে যাওয়ার পরও যে আমি এই দেশে আছি, এটাই বড় কথা। চন্ডিকা (হাথুরুসিংহে) যখন প্রথম এলো, আরও বড় বড় কোচ এসেছে, তখনও শুরুতে ফল খারপ হয়েছে। কিন্তু এ রকম হয়নি। ’
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে দেশের মিডিয়াকেও একহাত নিলেন টাইগারদের এই টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। মিডিয়ার জন্যই নাকি জায়গাটি নোংরা হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে মিডিয়াকে অন্যতম প্রধান অন্তরায় বলেও উল্লেখ করলেন তিনি।
‘বলার কিছু নেই। আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। নোংরা বলতে গেলে মিডিয়ায় যেভাবে বলা হয়, আমাদের ক্রিকেটের একটা বড় অন্তরায় মিডিয়াও। আমরা এত ‘ফিশি’ হয়ে যাচ্ছি আস্তে আস্তে, মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে কিনা, সেটাও একটা প্রশ্ন এখন আমার কাছে। ’
‘মিডিয়ায় এত বেশি আলোচনা হচ্ছে… আমার এটা মনে হচ্ছে, এত বছর ধরে ক্রিকেটে আছি, এত গসিপিং, এত কিছু… ঠিক আছে, এসব হবেই, ভালো-খারাপ আসবেই। সবকিছুই আসবে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস নেতিবাচক হয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রিকেটের জন্য। ’-যোগ করেন সুজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস