কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সামর্থ্য এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। ২০০৬ থেকে আজ অব্দি ৬৯টি ম্যাচ খেলে জয় ঘরে তুলেছে ২১টিতে।
তবে আশার কথা হলো, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ দিয়েই সেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন মুছে দিতে চাইছেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর এই ক্ষেত্রে ভীতিহীন ক্রিকেটের বিকল্প দেখছেন না টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমরা টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ভীতিহীন ক্রিকেট খেলা উচিত। ভীতিহীন ক্রিকেটটা আপনি যদি ব্যর্থতা দিয়ে চিন্তা করেন, তাহলে এই ফরমেটে সফলতার পরিমান কমে যাবে। তো ব্যর্থতা ও ভীতির ব্যাপারটি যদি কমে যায় তাহলে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করা সম্ভব। ’
মাহমুদউল্লাহ যোগ করেন, ‘ওয়ানডের টেম্পো, টেস্টের টেম্পো। যেভাবে পারফর্ম করছিলাম ঘরের মাটিতে ওই প্রত্যাশা আমরাই তৈরি করেছি সবার মনে। এবার সেই ফলটা দেখাতে পারিনি। আমার যেটা মনে হয় আমাদের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের উপর একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন আছে। এই সিরিজে একটা স্টেটমেন্ট দেওয়ার আছে বাকি বিশ্বকে। এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য। আমরা নিজেদের করে নিতে চাই। ’
খুবই ভালো কথা, টি-২০ সিরিজটি মাহমুদউল্লাহ নিজেদের করে নিতে চাইছেন। কিন্তু দিন শেষে শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে কিন্তু ভাবতেই হচ্ছে। কেননা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজেও উইকেট থেকে শতভাগ সুবিধা স্বাগতিকরা আদায় করে নিতে পারেনি। ফলে ক্ষতি যা হবার তা স্বাগতিকদের হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে কি হবে? উইকেট থেকে স্বাগতিকরা সুবিধা পাবে তো?
না, মাহমুদউল্লাহ এমন ভাবনার পথই মারাতে চাইছেন না। বরং ‘যা হবার তাই হবে’ মনোভাব নিয়ে চাপমুক্ত থেকে পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ দিতে চাইছেন।
‘আপনি উইকেট নিয়ে যদি নিজের উপর চাপ তৈরি করেন তাহলে আপনার নিজের পারফরম্যান্সের ওপরেও তা চাপ তৈরি করবে। যা দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সকেও চাপের মুখে ঠেলে দিবে। পিচ নিয়ে যদি এতো চিন্তা করেন তাহলে আমার মনে হয় না টিমের পারফরম্যান্সে কোনো ভালো প্রভাব পড়বে। তাই এই জিনিসগুলো সাইডে রেখে আমরা যদি আমাদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি…যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট বুঝতে পারি ওইটা আমাদের জন্য ভালো হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমআরএম