শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। কিন্তু সৌম্য সরকারে করা সেই বলে দিনেশ কার্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে বল সীমানা উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিলেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতম্যাচে জেতার পর মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন ‘অভিজ্ঞতা বাজারের জিনিস নয়’। তাহলে কি অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল? নাকি ভাগ্যদেবি সহায় হয়নি। এরকম জিততে গিয়েও শেষ মুহূর্তে হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
দ্বিপক্ষীয় খেলায় কয়েকটা শিরোপা জিতলেও এখন পর্যন্ত একাধিক দলের বিপক্ষে খেলে ফাইনালে জয় পায়নি বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা। ঢাকা অনুষ্ঠিত ওই ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে ৬ রানে পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। সেবারও রুবেল হোসেনের একটি ওভার জয়ের হিসাব পাল্টে দিয়েছিল। আর ওই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
২০১২ সালেও এশিয়া কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এতো বড় আসরে ফাইনালে গিয়েও জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল টাইগার বাহিনীকে। সেবার সাকিব-নাসিরদের চোখের পানিতে ভেসেছিল গোটা বাংলাদেশ। সেই আক্ষেপটা মুছে ফেলার সুযোগ এসেছিল ৪ বছর পর। ২০১৬ সালের টি-২০ ফরমেটে আয়োজিত হয়েছিল এশিয়া কাপে। সেবারও অনেক উত্তাপ ছড়িয়ে ফাইনালের টিকিট পায় বাংলাদেশ, আর প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। কিন্তু ওই ম্যাচে বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেননি ধোনি বাহিনীর বিপক্ষে। হেরেছিল ৮ উইকেটে।
এ বছরও (২০১৮) ঢাকার মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক হিসেবে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল সাকিব বাহিনী। কিন্তু ছোট্ট একটা দুর্ঘটনায় সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ে সাকিব। এতেই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশ দলের। ফাইনালে গেলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়ে ৭৯ রানে।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য স্বরণীয় হয়ে থাকতে পারতো, যদি সেই অধরা জয় তুলে বাড়ি ফেরা যেত। কিন্তু একেবারে হাতের মুঠোয় পেয়েও ধরে রাখতে না পারার যে আক্ষেপ সেটাই হয়তো আরো অনেক দিন তাড়া করবে সাকিব-রিয়াদ-মুশফিকদের। তবুও সিরিজে বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে খুব শক্তভাবে। অনেক ভুলের মধ্যেও টাইগারদের লড়াকু মনোভাব প্রতিপক্ষের কপালে ভাঁজ পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এসএইচ