লিগ শেষে তাই বিষয়টিকে নিজেদের বড় সফলতা হিসেবেই দেখছেন বিসিবি’র ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার নাসির আহমেদ নাসু।
শনিবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি চত্বরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
নাসু বলেন, ‘আমার দায়িত্বের দিক থেকে যদি বলেন, আমরা ওই রকম কোনো রিপোর্ট পাইনি। কোনো প্লেয়ার সম্পর্কে কোনো রিপোর্ট আসেনি। আমরা আমাদের কাজ করে গেছি। আমাদের তালিকাভুক্ত যেসব প্লেয়ার ছিল, যাদেরকে নিয়ে আমরা আগে কাজ করেছি, সন্দেহের তালিকায় ছিল তাদের বোলিং আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। তাদের ম্যাচ আমরা রেকর্ডও করেছি। তাতে তেমন কিছু পাইনি। ’
লিগে অংশ নেয়া অগনিত বোলারদের পাশাপাশি বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির অনুসন্ধানী চোখ ছিল বিপিএলে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন ধরা পড়া আল-আমিনের ওপরও। তাতে অবশ্য সফল হয়নি বোলিং অ্যাকশনের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা এই কমিটি।
‘আল-আমিন যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে। ওর দুইটা ম্যাচ আমি নিজে গিয়ে ভিডিও করেছি। তারপর ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করেছি। ’
উল্লেখ্য, বিপিএলের পঞ্চম আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে খুলনা টাইটানস পেসার আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরে তার অ্যাকশন নিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তাহ দুয়েক নিবিড়ভাবে কাজ করেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আল-আমিন ডেঙ্গুতে ভোগায় অবশ্য খানিকটা ব্যহত হয় অ্যাকশন শোধরানোর প্রক্রিয়া।
ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠে গেল ৮ জানুয়ারি বিসিবি’র একাডেমি মাঠে ক্যামেরায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন আল-আমিন। ১১ জানুয়ারি সেই পরীক্ষায় সফলতার সাথে পাশ করে আবার মাঠে ফেরেন জাতীয় দলে নিয়মিত হতে চাওয়া এই পেসার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস