তারই জের ধরে রানাতুঙ্গাকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়। ঘটনাস্থলে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন তার দেহরক্ষী।
এ প্রসঙ্গে রানাতুঙ্গা জানান, তার নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে হত্যার হাত থেকে বাঁচাতে গুলি করেছিল।
এর আগে রোববার (২৮ অক্টোবর) রানাতুঙ্গাকে মন্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে একদল উত্তেজিত জনতা ঘিরে ধরে। এদের মধ্যে কয়েকজন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে দেহরক্ষীরা গুলি চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে সেখানেই এক দেহরক্ষী নিহত হন ও দুই জন আহত হন৷
বার্তা সংস্থা এএফপি অবশ্য জানিয়েছিল, গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেছেন পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুণশেখরা৷
মূলত প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নিজের ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদ কেড়ে নেন৷ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসের নাম ঘোষণা করেন৷ আর এতেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় শ্রীলঙ্কায়৷
বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রানাতুঙ্গা৷ তাকে অপহরণের চেষ্টার পেছনে প্রতিপক্ষ দল তথা রাজাপাকসের অনুসারীদের হাত রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
এর আগে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে রানাতুঙ্গা বলেন, ‘ওরা আমাকে খুন করতে এসেছিল। রাষ্ট্রই এ জন্য দায়ী। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে পারেন। জীবনে প্রথমবার আমি এত ভয় পেয়েছি। আমি শুধু আমার সন্তান ও পরিবারের কথাই ভাবছিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এমএমএস