সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সিরিজে এক কথায় নাকানিচুবানি খেয়ে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া দল। আর এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) পক্ষ থেকে স্মিথ ও ওয়ার্নারের শাস্তি কমানোর আবেদন করা হয়।
এসিএ মনে করছে দোষী ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে যথেষ্ঠ শাস্তি ভোগ করেছে এবং তারা অনুতপ্ত। তাই তাদেরকে খেলার অনুমতি দেয়া উচিৎ। এসিএ’র সভাপতি গ্রেগ ডায়ার বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার বার্তা একটাই, শাস্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা অনুতপ্ত। তারা যথেষ্ঠ শাস্তি ভোগ করেছে। এখন অনুতাপী এই ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ দিন। আমি এটাও জানাতে চাই যে এটি বাস্তবায়নের জন্য এসিএ কঠোর হতেও পিছপা হবে না। ’
‘আমাদের পর্যবেক্ষণের পর আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছি যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছে সেটার দায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকেও নিতে হবে। হ্যাঁ মানছি যে ওই মুহূর্তের অপরাধটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। তবে এটাও সত্যি যে তাদের ঘটনায় বোর্ডের তরফ থেকেও অনেক কিছু করতে হতো। ’
‘বর্তমান অবস্থায় সাধারণ বিনয়, ন্যায্য অধিকার, আনুপাতিকতা ও ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখে তাদের শাস্তিটা কমে যাওয়া উচিৎ। তারা ইতোমধ্যে অনেক সময় হারিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ হারিয়েছে, জনগণের হেনস্থার শিকার হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ’
চলতি বছরে মার্চ মাসে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে বল-বিকৃতি কাণ্ডে স্মিথ ও ওয়ার্নারের পাশাপাশি ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ আছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টও। তাদের শাস্তি কমানোর আবেদনে সিএ চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার স্পস্ট করে বলেন, ‘অনেক বিচার-বিবেচনা করেই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাই এই শাস্তি বহাল থাকছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যা ঘটেছিল, তার দায়ভার চেয়ারম্যান হিসেবে আমি বহন করছি। ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই পাল্টে ফেলার কোন প্রশ্নই আসে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এমকেএম