সাকিবকে অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
গতকাল অবশ্য বিসিবি পরিচালক আকরাম বলেছিলেন, ‘একটা মেডিক্যাল রিপোর্ট দেবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত আবুধাবি, দুবাই ও শারজায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিতে চেয়ে বিসিবি বরাবর অনাপত্তিপত্র চেয়ে আবেদন করেছিলেন সাকিব। কিন্তু তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি।
চলতি বছেরের শুরুতে বাঁহাতের কনিষ্ঠায় পাওয়া চোট এখনও তিনি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ফলে ঘরের মাঠে চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে থাকতে হয়েছে দলের বাইরে।
মেলবোর্নের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড হয়কে দেখিয়ে দেশে ফিরে সংবাদ মাধ্যমকে যা বলেছেন তাতে তার আঙুলের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যেই তিনি মাঠে নামতে পারবেন। সেটা না হলে কো কারণে ব্যথা ফিরলে অস্ত্রপচার করতেই হবে। সেজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে নুন্যতম ৬ মাস, একবছরও লাগতে পারে।
এদিকে আরব আমিরাতে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারছেন না সাকিব। ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইউএই টি-টোয়েন্টি এক্স চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। যেখানে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার অনুমতি পেয়েছেন ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার। ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ। এরপর আবার ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএল।
এই লিগে সাকিবের পাশাপাশি বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছর নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলরাও রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
এমএমএস/এইচএল