ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিবর্ণ বাংলাদেশের দিনে জিম্বাবুয়ের ১৪০ রানের লিড

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৮
বিবর্ণ বাংলাদেশের দিনে জিম্বাবুয়ের ১৪০ রানের লিড ছবি: সংগৃহীত

যেভাবে দাপটে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ সাদা পোশাকে সেই বাংলাদেশ যেন অচেনা এক দল। নিজেদের মাটিতে এভাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়বে কেউই ভাবেননি। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানেই অলআউট করে দিয়ে ১৪০ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা।

এই বাংলাদেশের মাটিতেই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলকে টেস্টে হারানো দলটিই জিম্বাবুয়ের সামনে ভেঙে গুড়ো হয়ে গেছে। যে ইমরুল কায়েস একাই ওয়ানডে সিরিজ জিতিয়েছেন, তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান।

দলের প্রধান ব্যাটিং শক্তি মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটেও নেই রান।

প্রথম ইনিংসেই ১৩৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এক রান যোগ করে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ১৪০ রান এগিয়ে জিম্বাবুইয়ানরা।

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেটে টিকতে যুদ্ধ করতে থাকা বাংলাদেশ ১৪৩ রানেই অলআউট। অভিষিক্ত আরিফুল হকের অপরাজিত ৪১ রানই দলের সর্বোচ্চ। জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে তিনশ’ রানের নিচে আটকে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে কঠিন বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩৯ রানে পিছিয়ে থেকেই বাংলাদেশের সবাই সাজঘরে ফেরেন।  

রোববার (০৪ নভেম্বর) দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। দলীয় ৮ রানে ব্যক্তিগত ৫ রানে তেন্দাই চাতারার বলে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাশও ব্যক্তিগত ৯ রানে তিনি ফেরে কাইল জারভিসের বলে।  

নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান চাতারা। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোল্ড করেন চাতারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সম্ভাবনা জাগালেও বিদায় নেন মুমিনুল হকও। দলীয় ৪৯ রানে সিকান্দার রাজার বলে ব্যক্তিগত ১১ করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ভরসার নাম মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলে টাইগারদের বিপর্যয় আরও প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। ৫৪ বলে ব্যক্তিগত ৩১ রানে কাইল জারভিসের বলে আউট হন মুশফিক।

এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি উদযাপন করেন তাইজুল ইসলাম। তার ঘূণিতেই ১১৭.৩ ওভারে ২৮২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৬ উইকেট লাভ করেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯২ বলে ৬টি চারে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন পিটার মুর।

জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেট তুলে নেন নামজুল ইসলাম অপু। ব্র্যান্ডন মাভুতাকে এলবির ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা এই স্পিনার। এরপর কাইল জারভিস ও তেন্দাই চাতারাকে পর পর দুই বলে বিদায় করেন তাইজুল।

এর আগে তাইজুলের বলেই জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙে। ৮৫ বলে ২৮ করে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন রেগিস চাকাভা। তিনি পিটার মুরের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন।
সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফের ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দিন ৯১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে।

প্রথম দিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে টাইগাররা। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৫২) ও শেন উইলিয়ামসের হাফসেঞ্চুরিতে ভালো সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১২ রানের জন্য উইলিয়ামসকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

প্রথম দিনের শেষে পিটার মুর ৩৭ ও রেগিস চাকাভা ২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম দুটি উইকেট পান। এছাড়া একটি করে উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি, নাজমুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন চাতারা ও রাজা। এছাড়া জারভিস দুটি ও উইলিয়ামস এক উইকেট নেন।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।