টার্গেট খুব ছোট হলেও চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতা সহজ কাজ নয়। তাই সতর্ক হয়েই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
কেননা এখনো পর্যন্ত রান তাড়া করে পাওয়া বাংলাদেশের তিন জয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসানের বীরত্বে ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্টে জয়টি এসেছিল ১৯২ রান তাড়া করে। আর ঘরের মাঠে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড কেবল একটিই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা।
তৃতীয় দিন লিটন দাশ ৩৮ বল খেলে ১৪ ও ইমরুল কায়েস ২৩ বলে ১২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানের অলআউট করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর এই ইনিংসেও নেন ৫টি উইকেট। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট দখল করেন তিনি। তিনি তুলে নেন ব্র্যান্ডন টেইলর, শেন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর ও তেন্দাই চাতারাকে।
এছাড়া এক টেস্টে বাংলাদেশি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেন সাকিব আল হাসানকে। তবে ১১ উইকেট তাকে টাইগারদের মূল বোলিং তালিকায় তৃতীয়তে রেখেছে। তার ওপরে রয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও এনামুল হক জুনিয়র।
এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট ও ম্যাচে ৯ উইকেট নিলেও, এবারই প্রথমবার তার ঝুলিতে এলো ১০ উইকেট (মোট ১১)।
জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কেউই হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ২৫ রান করেন রাজা।
তাইজুল ছাড়া টাইগার স্পিনার মিরাজ ৩টি উইকেট পান। নাজমুল ইসলাম অপু নেন বাকি দুটি উইকেট।
জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ করেছিল।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এমএমএস