মূলত বাঁ হাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ট্রেন্ট বোল্টের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ম্যাচে ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান। ব্যাটিং ‘স্তম্ভ’ ফখর জামান, বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজকে সাজঘরে পাঠিয়ে তৃতীয় কিউই বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করেন সদ্য বাবা হওয়া বোল্ট।
১৯৯৪ সালে ন্যাপিয়ারে ভারতের বিপক্ষে প্রথম কিউই বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন ড্যানি মরিসন। এর এক যুগেরও পর ২০০৭ সালে হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় কিউই বোলার হিসেবে সে কৃতিত্ব দেখান শেন বন্ড। আর বুধবার (০৭ নভেম্বর) তাদের পাশে নাম লেখালেন ২৯ বছর বয়সী স্বদেশী বোল্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাংটিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। দলীয় মাত্র ১৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ৩৬ রানে মুনরোর (ব্যক্তিগত ২৯) বিদায়ে চাপে পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
তিন নম্বরে নামা উইলিয়ামসন রস টেইলরকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন। মাত্র ২৭ রানে উইলিয়ামসন বিদায় নিলে (দলীয় ৭৮) লাথামকে নিয়ে জুটি বাঁধেন টেইলর। ১৩০ রানের এ জুটির যখন ভাঙে কিউই স্কোর বোর্ডে তখন ৪১ ওভারে ২০৮ রান। ৬৮ রানে লাথাম বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন রস টেইলর।
এ পর্যায়ে ক্রিজে আসা নিকোলাস কোনো রান যোগ না করতেই ফিরে যান। এরপর গ্র্যান্ডহোম যখন ফেরেন তখনও নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০৮ রান। আর উইকেট ৬টি। ৪২ ওভারে টেইলর ব্যক্তিগত ৮০ রানে ফিরে গেলে বড় সংগ্রহের আশা ছেড়ে দেন কিউই ভক্তরা। তবে শেষ দিকে টিম সাউদি ও সোধীর লড়াকু ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে ৯ উইকেটে ২৬৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান। অপর উইকেটটি নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।
২৬৭ রানের জয়ের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মাত্র ৮ রানে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। পরের দুই বলে বাবার আজম ও মোহাম্মদ হাফিজকে যথাক্রমে কট ও এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাট্টিকের স্বাদ নেন বোল্ট। মূলত এখানেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান।
দলীয় একশ’ না পেরুতেই আরো তিন ব্যাটসম্যান ইমাম-উল হক, শোয়েব মালিক, শাদাব খানকে হারিয়ে পুরো চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। তবে সপ্তম উইকেটে সরফরাজ আহমেদ ও ইমাদ ওয়াসিমের জুটি (১০৩ রানের জুটি) আশা দেখাতে থাকে পাকিস্তানকে। এ পর্যায়ে গ্র্যান্ডহোম সরফরাজ আহমেদকে বোল্ড করলে ফের কিউই শিবিরে স্বস্তি ফেরে।
ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সরফরাজের বিদায়ের পর ৫০ রান করে ফেরেন ইমাদ ওয়াসিম। ২১৯ রানে তার বিদায়ের পর ১৬ রান করা হাসান আলী এবং শাহীন শাহ আফ্রিদিও ফেরেন একই স্কোর বোর্ডে। তাতে ১৬ বল বাকি থাকতেই ৪৭ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
হ্যাট্টিকের কল্যাণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অন্য উইকেটগুলোর মধ্যে ফার্গুসন নিয়েছেন ৩টি, গ্র্যান্ডহোম ২টি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি ও সুধী।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
জেডএস