সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে সোমবার (১২ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলায় মাইলফলক স্পর্শ করেন লাল-সবুজের সাবেক এই অধিনায়ক। ২শ রান সংগ্রহের পথে মুশফিক খেলেছেন ৪০৭টি বল।
এতদিন উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে ১টি করে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোদের তালিকায় মুশফিকের সঙ্গী ছিলেন সাঙ্গাকারা, ধোনি, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের মতো তারকা। এই তালিকায় তাদের সঙ্গী ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ, তাসলিম আরিফ, শ্রীলঙ্কার ব্র্যান্ডন কুরুপ্পু। এখন এই রেকর্ডের একমাত্র মালিক হলেন মুশফিক।
মুশফিক ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের দেখা পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে গলে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ২০০ রানের ইনিংস। তিনি ছাড়া সাদা পোষাকে দেশের হয়ে ডাবল মেরেছেন কেবল তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
তামিমের ২শ এসেছিলো ২০১৫ সালে, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে (২০৬)। আর সাকিব আল হাসান ২শ করেছিলেন ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলকে উপহার দিয়েছিলেন ২১৭ রানের নান্দনিক এক ইনিংস।
এই ডাবলেই আরও একটি ইতিহাসের জন্ম দিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিক। সাদা পোষাকে হোম অব ক্রিকেটের এই ভেন্যুতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই এত রান সংগ্রহ করতে পারেননি। তিনিই প্রথম। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ১৬১ রান নিয়ে গতকালই তামিম ইকবালকে (১৫১ রান) টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন মুমিনুল হক। যা একদিনের ব্যবধানেই টপকে গেলেন মুশফিক।
মুশফিকের অর্জন এখানেই শেষ নয়। এই সংগ্রহ তাকে নিয়ে গেল এই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো শীর্ষ ৪ জনের তালিকায়। ২০১২ সালে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শিব নারায়ণ চন্দরপল (অপরাজিত ২০৩)। এর দুই বছর পর একই সংগ্রহ পেয়েছিলেন লঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে। আর ২০১৫ সালে ২২৬ রানের ইনিংস নিয়ে এই মাঠে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের আজহার আলী।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিলো প্রথম দিনের যাদুকরী ব্যাটিংয়ের আবেশে আচ্ছন্ন করে রাখা মুমিনুল হকের ১৬১ ও মুশফিকের অপরাজিত ১১১ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ৩০৩ নিয়ে।
দিনের শুরু থেকে উইকেটের অপরপ্রান্তে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সোমবার (১২ নভেম্বর) দিনের প্রথম সেশনটা তাদের নির্ভার ব্যাটে কেটে গেল সত্যি কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে এসে জার্ভিসের বলে কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেলেন মাহমুদউল্লাহ (৩৬)। দলের সংগ্রহ তখন ৩৭২ রান।
৭ম উইকেটে মুশফিককে সঙ্গ দিতে এলেন আরিফুল হক। দুঃখজনকভাবে তার ইনিংসটিও বড় হলো না। ৩৭৮ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে জার্ভিসের ৫ম শিকার বনে ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমে। ব্যক্তিগত ২শ রান থেকে মুশফিক তখন ৫৫ রান দূরে।
৮ম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে শঙ্কা অনেকটাই দূরিভূত হলো। দুজনের সতর্ক ব্যাটে টাইগার শিবিরে ধরা দিলো ৪শ রান। মুশফিক তখন ডাবল থেকে ৪৯ রান দূরে। অবশেষে চা পানের বিরতির পর তাও ধরা দিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম